কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন : আপনি কি একটা কম্পিউটার কেনার কথা ভাবছেন, অথবা আপনার পুরাতন কম্পিউটার আপডেট করতে চাচ্ছেন, কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে শুরু করবেন? আপনি তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনার জন্যই এই কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন ব্লগটি।
এখান থেকেই আপনি কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। এবং আশা করি, এই ব্লগটি পড়লে আপনার মনের অনেক দ্বিধা দূর হয়ে যাবে।
নিচের এই ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনি জানতে পারবেন কি ধরনের কম্পিউটার আপনার নেওয়া উচিত?
ধরন:আপনি কি ডেস্কটপ নিতে চাচ্ছেন নাকি ল্যাপটপ?
ব্যাবহারের উদ্দেশ্য: আপনি কি কাজের জন্য কম্পিউটার নিতে চাচ্ছেন?
বাজেট: কম্পিউটার কেনার জন্য আপনার কি পরিমান বাজেট রয়েছে?
অ্যাসেম্বল: আপনি কি রেডিমেট বিল্ড/ব্যান্ড পিসি নাকি নিজের মন মত কাস্টমাইজড করে নিতে চাচ্ছেন?
চলুন তাহলে শুরু করি, প্রথমে প্রশ্নের উত্তরগুলি খুজে বের করা যাক:
আপনি ডেক্সটপ নিবেন নাকি ল্যাপটপ?
কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে ব্যাপারটা সামনে আসে তা হলো আপনি ডেক্সটপ নিবেন নাকি ল্যাপটপ নিবেন যদি ইতিমধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর জানেন তাহলে, চমৎকার!
আপনি এই সেকশনটি এড়িয়ে যেতে পারেন এবং পরবর্তী সেশন থেকে কন্টিনিউ করতে পারেন।
ডেক্সটপ কম্পিউটার
একটি ডেক্সটপ পিসি সাধারণত আপনার ডেস্কের উপরে বা নিচে সজ্জিত করা থাকে তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ডেক্সটপ কম্পিউটার।
বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের এবং বিভিন্ন সাইজের কেসিং (যার মধ্যে কম্পিউটারের যত্রাংশ সেটাপ করা থাকে) দেখতে পাবেন। পিসি কেস সাধারণত কালো, ধূরস অথবা সাদা বিভিন্ন রংয়ের দেখতে পাবেন এবং সাথে সাইড-দরজা বা সাইড-গ্লাস যেটি আপনার পছন্দ সেটা নিতে পারবেন।
ডেক্সটপ সাধারণত কোথাও অনেকটা স্থায়ীভাবে সেটাপ করা হয়, খুব কম ক্ষেত্রেই এটা স্থানান্তর করা হয়। এছাড়াও আপনার ডেক্সটপ কম্পিউটার সম্পূর্ণ করতে এর সাথে মাউস, কি-বোর্ড, মনিটর, স্পিকার এবং প্রয়োজনে মাইক্রোফন ও সংযুক্ত করতে হবে।
সমমূল্যের একটি ল্যাপটের চেয়ে কম্পিউটার অনেক বেশি শক্তিশালী।
এর আকার, বৃহত্তর যন্ত্রাংশ, বেটার কুলিং সিস্টেম, শক্তিশালী পাওয়ার সাপ্লাই সবকিছু মিলিয়ে আপনাকে খুব ভালো মানের পারফরমেন্স প্রোভাইড করবে। কম্পিউটার কেনার উদ্দেশ্য যদি শক্তিশালী কোন কাজ বা গেমিং হয় তাহলে আপনার ডেক্সটপ পিসিকেই বিবেচনা করা উচিত।
ডেক্সটপ কম্পিউটারের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন সময় আপগ্রেড করে নিতে পারবেন।
ল্যাপটপ
ল্যাপটপের প্রধান সুবিধা হলো এটি খুব সহজেই স্থানান্তর করা যায়।
আপনার যদি কম্পিউটার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাবার প্রয়োজন পড়ে তবে আপনি ল্যাপটপকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
এটিতে স্ক্রিন, ট্যাচপ্যাড, কীবোর্ড সরিসরি সংযুক্ত করা থাকে যার অর্থ আপনার কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করার জন্য একটি জিনিস বহন করলেই হয়ে যাবে।
যেহেতু একটি ল্যাপটপ একটি ডেস্কটপের চেয়ে অনেক ছোট তাই এর কুলিং সিস্টেম এবং পাওয়ার সিস্টেমে কিছুটা সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।
এর মানে এটিতে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম পারফরমেন্স পাওয়া যায় , কেননা একটি ল্যাপটপের ইন্টারনাট পার্টসগুলো কম পাওয়ার এবং কম কুলিং সিস্টেমে চলার মত করে তৈরি করতে হয়।
কম্পিউটার নিয়ে বিভিন্ন যায়গা মুভ করা যদি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় আবার পারফরমেন্স এর ক্ষেত্রেও আপনি ছাড় দিতে রাজি না থাকেন তবে সেক্ষেত্রে এমন ল্যাপটপ ও রয়েছে যেটা ডেক্সটপ পিসির মত পারফরমেন্স অফার করে। কিন্তু সেগুলো যথেষ্ঠ ব্যায়বহুল।
সাধারণত একটি ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো আপগ্রেড করা বেশ কঠিন। স্টোরেজ ড্রাইভ এবং RAM এই দুটিই আপনি চাইলে সহজে পরিবর্তন করতে পারবেন।
এছাড়া সিপিইউ, জিপিইউ মাদারবোর্ড এগুলো ল্যাপটপে এমনভাবে তৈরি হয়, যে কারণে এগুলো আপগ্রেড করা কঠিন হয়ে যায়।
একটি ল্যাপটপ সাধারণত ছোট মনিটরের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং এর টাচপ্যাড আপনার কাজের গতিকে ও ধীর করে দিতে পারে।
সাধারণত টেক্সট এডিটিং, ব্রাউজিং, কোডিং সাধারণ মোশন ডিজাইন, সাধারণ অ্যানিমেশন, মৌলিক ভিডিও এবং ফটো এডিটিং সবই ল্যাপটপে করা যায়।
যদি আপনি কমপ্লেক্স কোন প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনার জন্য ডেক্সটপ ই ভালো হবে।
বিশেষ করে আপনি জিপিইউ/সিপিইউ রেন্ডারিং এবং অন্যান্য কাজ করেন যেখানে খুব বেশি পারফরমেন্স প্রয়োজন হবে।
ডেক্সটপ নাকি ল্যাপটপ সারাংশ:
- বহন করার সুবিদার্থে ল্যাপটপ চয়েস করুন
- সর্বাধিক পারফরমেন্সের জন্য ডেক্সটপ চয়েস করুন
ল্যাপটপ আর ডেক্সটপ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ কোনটি ভালো হবে
যদি আপনার প্রথম পশ্নের সমাধান হয়ে যায় তবে দ্বিতীয় থেকে শুরু করা যাক:
২. ব্যাবহারের উদ্দেশ্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কি কাজে ব্যাবহার করা হবে?
কম্পিউটার কেনার গাইডলান এর ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো আপনি এই কম্পিউটারটি কি জন্য ব্যাবহার করবেন,
বিশেষ করে প্রতিদিন কি ধরণের সফ্টওয়্যার চালাবেন?
চলুন কম্পিউটার ব্যাবহারের কিছু উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানি, এবং এগুলোর জন্য আদর্শ কম্পিউটার কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কেও জানি।
ভিডিও এডিটিং এর জন্য কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন
একটি কম্পিউটারের ভিডিও এটিটিং পারফরমেন্স অনেকটা এই পিসির হার্ডওয়ারের উপর নির্ভর করে। ভিডিও এডিটিং এর জন্য সেরা পারফর্মার সিপিইউ দরকার।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় উচ্চ কোর-ক্লক যেখানে
প্রায় ৮-১৬ কোর থাকে, যেমন AMD Ryzen 9500X or Intel Core i9 900K প্রসেসর।
ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে সাধারণত ভালো পরিমাণে RAM ব্যাবহৃত হয়। 2k or 4k ভিডিও ফুটেজের জন্য
আপনাকে কমপক্ষে ১৬জিবি বা এর বেশি ৩২জিবি RAM ব্যাবহার করতে হবে, ভালো পারফরমেন্স এর জন্য।
ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য স্টোরেজ হলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই স্টোরেজটাকেও আমাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ভালো মানের একটা এসএসডি নেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত হবে। NVMe SSD এর Samsung 970 EVO Plus সিরিজের এসএসডি গুলো খুব ভালো পারফরমেন্স প্রদান করে থাকে। যদিও এগুলোর দাম একটু বেশি তারপরেও বলবো এগুলো ভ্যালু ফর মানি প্রদান করে থাকে।
গ্রাফিক্স কার্ড কিন্তু ভিডিও এডিটিং এ খুব বেশি ভূমিকা রাখেনা। এটি হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ইফেক্ট প্রসেসিং এবং ইনকোডিং এর এর গতি বাড়ায় তবে এটি আপনার ভিডিও এডিটিং এর পারফরমেন্স বাড়ার প্রধান কারণ নয়।
তাই আপনি যদি অনেক বেশি পরিমান প্রসেসিং করেন, মানে প্রায়ই ভিডিও ফুটেজ লোড করেন এবং একে বিভিন্ন কমপ্রেস ফুটেজে কনভার্ট করেন তাহলে আপনার দরকার বেশি কোর সম্পন্ন প্রসেসর যেমন AMD Ryzen 9 5950X।
আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন এবং Photoshop, Illustrator, InDesign অথবা অন্যান্য ভেক্টর বেজড সফ্টওয়ারগুলো নিয়মিত ব্যাবহার করেন, তবে আপনার বেশি কোর সম্পন্ন CPU না হলেও চলবে। বরং আপনার লাগবে হাই ক্লক–স্পিড সম্পন্ন একটি CPU।
এক্ষেত্রে দুর্দান্ত হবে যদি আপনি AMD Ryzen 5900x/ AMD Ryzen 5600x এবং Intel i9 10900K এই ক্যাটাগরির কোন সিপিইউ নেন।
কিন্তু সমস্যা হলো এই সিপিইউ গুলোর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
এখন কথা হলো আপনার যে কাজ সেই অনুযায়ী কি আসলেও এত মূল্যের সিপিইউ নেবার দরকার আছে?
আমার মনে হয়, না। নেবার দরকার নাই, যদি না আপনার বাজেট নিয়ে কোন সীমাবদ্ধতা না থাকে।
তাই আপনি যদি কিছুটা টাকা বাঁচিয়ে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা পারফরমেন্স সম্পন্ন প্রসেসর নিতে চান সেক্ষেত্রে AMD Ryzen 5 3600 খুব ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। অথবা এই সিরিজের যেকোন একটি প্রসেসর আপনি নিতে পারেন।
মোশন ডিজাইন এর জন্য কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন
আপনি যদি একজন মোশন ডিজাইনার হয়ে থাকে তবে নিশ্চয় After Effects, Illustrator, Photoshop অথবা Nuke and Fusion এর মত অ্যাপ্লিকেশনগুলো সম্পর্কেও আপনি জানেন।
After Effects এটি সাধারণত মেমরি ডিমান্ডিং অ্যাপ্লিকেশন তাই এর জন্য যথেষ্ঠ মেমোরি বরাদ্ধ রাখা উচিত।
প্রোফেশনাল ডিজাইনারদের জন্য ৩২জিবি RAM বেজডলাইন হওয়া উচিত, তবে ৬৪জিবি RAM ব্যাবহারে হাই রেজুলেশন প্রোজেক্টগুলি অনায়াসে সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে একটি হাই–স্পিড NVMe SSD যেমন, Samsung 970 EVO PLUS আপনার মোশন ডিজাইনের ফুটেজ লোড করতে, আউটপুট প্রদান করতে, এবং সংরক্ষণ করতে ভালো মানের পারফরমেন্স প্রদান করবে।
ফটো এডিটিং এর জন্য কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন
আপনি যদি ফটো এডিটের জন্য একটি কম্পিউটার কিনতে চান তার মানে আপনাকে Photoshop, lightroom, Camera RAW এবং Adobe Bridge এই সফ্টওয়ারগুলো ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করা লাগবে।
এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি চালানোর জন্য আপনাকে মোটেও বেশি কোর সম্পন্ন প্রসেসরের প্রয়োজন হবেনা। এর জন্য যেটা দরকার সেটা হলো স্বল্প কোর, কিন্তু প্রসেসরের ক্লক স্পিড বেশি থাকতে হবে।
RAM এর ব্যাপারটা যদি বলি, তাহলে ১৬জিবি RAM আপনার জন্য যথেষ্ঠ হয়ে যাবে, যদি না আপনি একই সময়ে অনেকগুলো হাই রেজুলেশনের ফোটো এডিট করেন।
গেমিং এর জন্য কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন
কম্পিউটার কেনার যতগুলো উদ্দেশ্য আছে তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি উদ্দেশ্য হলো গেমিংয়ের জন্য কম্পিউটার কেনা।
আপনার জন্য দূর্দান্ত একটি সংবাদ হলো আপনি যেসব পিসিতে কাজ করেন তার বেশিরভাগেই আপনি গেম ও খেলতে পারবেন।
বিশেষ করে থ্রী–ডি মডেলিং, অ্যানিমেশন, মোশন ডিজাই, জিপিইউ রেন্ডারিং এবং ভিডিও এডিটিং এর জন্য যেসব পিসি বিল্ড করা হয় তার প্রায় সবগুলোতেই আপনি অনায়েসে গেম খেলতে পারবেন।
কিন্তু আপনার যদি এর আগে কোন কম্পিউটার না থেকে থাকে শুধুমাত্র যদি গেমিংয়ের জন্যই নতুন কম্পিউটার নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জিপিইউ এর দিকটা ভালোমত বিবেচনা করতে হবে।
মাইক্রোসফট অফিস, টেক্সট-এডিটিং, ইন্টারনেট:
আপনি যদি শুধুমাত্র মাইক্রোসফট অফিস, টেক্সট–এডিটিং যেমন ওয়ার্ড, এক্সেল অথবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর জন্য কম্পিউটার কিনতে চান তবে আপনার পিসি বিল্ড নিয়ে এত ভাবনা চিন্তার কোন দরকার নাই।
কেননা এই কাজের জন্য পিসিগুলির নির্দিষ্ট করে কোন বিশেষ হার্ডওয়ারের প্রয়োজন হয়না। আপনি নিশ্চিত মনে বাজারে যে কম বাজেটের পিসি আছে সেগুলোই নিয়ে নিতে পারবেন।
উপরে যতগুলো পিসি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার সবগুলিতেই আপনি অনায়েসে এগুলির কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনার কাজ যদি শুধু এগুলিই হয়ে তাহলে এত হাই পারফরমেন্স পিসি আপনার না হলেও চলবে।
৩. আপনার বাজেট কেমন:
কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন অনেকটা নির্ভর করে আপনার বাজেটের উপর। আপনি যে কোন ধরনের বাজেট দিয়েই কম্পিউটার কিনতে পারেন। একটা কথা আছে না “যত গুড় তত মিষ্টি” তাই আপনি কম্পিউটার কেনার জন্য যেমন অর্থ ব্যায় করবেন তেমন পারফরমেন্স ও পাবেন।
আপনি অনেক টাকা খরচ করে একটি শক্তিশালী কম্পিউটার ক্রয় করতে পারেন, তবে এত ব্যায়বহুল কম্পিউটার নেওয়া আপনার জন্য ভালো সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে।
এজন্যই আপনি কি কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যাবহার করবেন সেটা নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
অধিক কোর সম্পন্ন প্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটার দিয়ে আপনি কিন্তু অ্যানিমেশন এবং মোশন ডিজাইন কাজের জন্য মোটেও সাহায্য পাবেন না। তবে যে সকল কাজে কোর বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিতে ভালো পারফরমেন্স পাবেন।
তাই আপনার কম্পিউটারের কোন হার্ডওয়ারের পিছনে বেশি ব্যায় করতে হবে সে সম্পর্কে ভাবুন।
পুরো বাজেটের টাকা খরচ না করেও যদি আপনি প্রয়োজনীয় পারফরমেন্স সম্পন্ন কম্পিউটার ক্রয় করতে পারেন তবে সেটা ভালো না?
আমাদের কি ধরনের কম্পিউটার দরকার তা আশা করি আমরা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছি।
এবার চলুন এখানে ক্লিক করে আমরা আমাদের মত করে একটি কাস্টম পিসি তৈরি করি!
উপরের লিঙ্কে ক্লিক করলেই আপনি STAR TECH এর পিসি বিল্ড পেইজ এ যেতে পারবেন। আপনি এখান থেকেই আপনার মন মত সিপিইউ, সিপিইউ কুলার, মাদারবোর্ড, র্যাম এবং গ্রাফিক্স কার্ড সহ পিসি বিল্ড করতে যা যা লাগে এখানে অপশন পাবেন। আপনি শুরুমাত্র Choose অপশনে ক্লিক করে আপনার পছন্দের আইটেমটি যুক্ত করবেন।
প্রত্যেক আইটেম যুক্ত করার সাথে সাথে আপনার মোট কত টাকা খরচ হবে সেটাও দেখতে পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আইটেম পরিবর্তন করে খরচ সমন্বয় ও করতে পারবেন।
৪. ব্র্যান্ড পিসি নাকি কাস্টম পিসি:
কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন এর সর্বশেষ বিষয়বস্তু হলো যে আপনি ব্র্যান্ড পিসি নিবেন নাকি কাস্টম পিসি নিবেন? যে কারণে আমি আপনাকে কাস্টম পিসি বিল্ড করতে পরামর্শ দিই, তাহ হলো:
1.আপনি যদি আলাদাভাবে যন্ত্রাংশ কিনে পিসি বিল্ড করেন সেক্ষেত্রে আপনার অনকে টাকা কম খরচ হবে। কেননা ব্র্যান্ড পিসির দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটা বেশি।
2. কম্পিউটার যন্ত্রাংশের সাথে পরিচিত হতে পারবেন, কোনটার কি কাজ একটা আইডিয়া পাবেন যেটা পররবর্তীতে কাজে দিবে।
3. আপনি চাইলে যে কোন সময় খুব সহজেই পিসি আপগ্রেড করতে পারবেন।
4. একটি কম্পিউটার বিল্ড করা আসলেও অনেক সহজ, এটি মূলত একটি আরেকটির সাথে প্লাগিং করা। এছাড়াও আপনি যেখান থেকে যন্ত্রাংশ কিনবেন তারাও আপনাকে পিসি বিল্ড করে দিবে।
আর যদি আপনি ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে এত ঝামেলার কোন দরকার নেই, একটি ল্যাপটপের শো-রুমে যাবেন ল্যাপটপ পছন্দ করবেন দাম দিবেন চলে আসবেন, ব্যাস!
আশা করি উপরের আর্টিকেল থেকে কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে গেছেন। এরপর ও যদি কোন কিছু জানার থাকে তবে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করার।