আপনারা প্রায় প্রত্যেকেই কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে জেনে থাকবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের কম্পিউটার ভাইরাস কি, বিভিন্ন প্রকার ভাইরাসের বর্ণনা এবং কম্পিউটার থেকে ভাইরাস দূর করার উপায় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো।
Table of Contents
Toggleকম্পিউটার ভাইরাস কি
ভাইরাস হলো সাধারণত আপনার কম্পিউটারের প্রোগ্রামের ভিতরে এমবেড করা কোডের একটি অংশ। এটি ফাইলগুলিকে মডিফাই বা নষ্ট করে সিস্টেমের বিপর্যয় ঘটাতে পারে। যার ফলে আপনার কম্পিউটার ক্র্যাশ হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত কম্পিউটারকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। যেন এটি আমাদের কোন ক্ষতি করতে না পারে।
এবার আমরা ভাইরাসের কিছু প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ভাইরাসের কিছু বৈশিষ্টসমূহ:
কম্পিউটার ভাইরাস এর কাজ কি?
কম্পিউটার ভাইরাস সাধারণত ব্যবহারকারীর অজান্তেই কম্পিউটারে প্রবেশ করে থাকে। এটি ইমেইলের বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট, আনঅথোরাইজ কোন সফটওয়্যার বা আক্রমণকৃত কম্পিউটার থেকে ছড়াতে পারে।
এটি একবার কম্পিউটারে প্রবেশ করলেই কম্পিউটারের অনেক ফাইল বা সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে। পরে তারা এটি ঠিক করে দেবার জন্য টাকা দাবী করে থাকে।
দেখা যায় কম ক্ষতিকারক কম্পিউটার ভাইরাসগুলিও, কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা ব্যাহত করতে পারে। কম্পিউটারের মেমরি নষ্ট করে ফেলতে পারে এমনকি কম্পিউটার ক্র্যাশ ও করে দিতে পারে। এছাড়াও এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দিতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারকে অকার্যকর করতে পারে।
কম্পিউটার ভাইরাসের প্রকারভেদ
চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু ভাইরাসের বৈশিষ্ট বা প্রকারভেদসমূহ
File Virus
এই ধরনের ভাইরাসগুলি কম্পিউটারের ফাইলের সাথে নিজেকে যুক্ত করে পুরো সিস্টেমকে সংক্রমিত করে। এটি সাধারণত কোন প্রোগ্রামের শুরুর দিকটা পরিবর্তন করে দেয় যাতে পুরো নিয়ন্ত্রণটি তার কোডে চলে যায়।
এটির কোড কার্যকর হয়ে গেলে পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণটি মূল প্রোগ্রামে ফিরে আসে। সার্বিকভাবে এর কোনো কাজ ইউজারের চোখে পড়ে না। একে পরজীবী ভাইরাসো বলা হয়। কেননা এটি কম্পিউটারের প্রায় সকল ফাইলকেই সংক্রমিত করে কিন্তু হোস্ট কম্পিউটারকে নিস্ক্রিয় না করে কার্যকরীও রাখে।
Boot Sector Virus
এটি প্রথমে একটি সিস্টেমের বুট সেক্টরকে সংক্রমিত করে। প্রতিবার সিস্টেম বুট হওয়ার সময় এবং অপারেটিং সিস্টেম লোড হওয়ার আগে এটি কাজ করে। এটি ফ্লপি ডিস্কে বা হার্ডড্রাইভের মতো বুটেবল মেমরিগুলিকে সংক্রমিত করে। তাই এটিকে মেমরি ভাইরাসও বলা হয়।
Macro Virus
বেশিরভাগ ভাইরাস একটি লো-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজে লিখা হয়ে থাকে যেমন সি বা অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ। মাক্রো ভাইরাসগুলি ভিজ্যুয়াল বেসিকের মত হাই-লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজে লিখা হয়ে থাকে। এই ভাইরাসগুলি স্প্রেডশিটের মত জায়গায় অবস্থান করতে পারে।
Source Code কম্পিউটার ভাইরাস
এই ভাইরাসগুলি কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামের সোর্স কোডের অনুসন্ধান করে। এরা সোর্স কোডে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে এটিকে মডিফাই করে।
Encrypted কম্পিউটার ভাইরাস
অ্যান্টিভাইরাস যেন এই ভাইরাসকে চিনতে না পরে এজন্য এই ভাইরাসগুলিকে এনক্রিপ্ট অবস্থায় রাখা হয়। সেই সাথে এটি ডিক্রিপশন অ্যালগরিদম বহন করে থাকে। তাই এই ভাইরাসটি প্রথমে নিজেকে ডিক্রিপশন করে তারপর এক্সিকিউট করে।
Multipartite Virus
এই ধরনের ভাইরাস বুট সেক্টর, মেমরি এবং ফাইলসহ একটি সিস্টেমের একাধিক অংশকে সংক্রমিত করতে পারে। এই ভাইরাসগুলিকেও শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়।
Browser Hijacker
এই ভাইরাসটি ব্যাবহারকারীর ব্রাউজারকে উদ্দেশ্য করে কোড করা হয়ে থাকে, এটি আপনার ব্রাউজারের সেটিংসও পরিবর্তন করে দিতে পারে।
এটিকে ব্রাউজারের রিডাইরেক্ট ভাইরাসও বলা হয় কারণ এটি আপনার ব্রাউজারকে অন্যান্য ম্যালিসিয়াস সাইটগুলিকেও নির্দেশ করে যা আপনার সিস্টেমের ক্ষতি করে দিতে পারে।
Direct Action Virus
এই ভাইরাসের মূল লক্ষ হলো আপনার কম্পিউটারের ডাটাকে প্রতিলিপি। যখন একটি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হয় তখনি এই ভাইরাসটি কাজ করে। এবং যেসব ফাইল এর পাথ AUTOEXEC.BAT উল্লেখ করা এই সকল ডিরেক্টরির ফাইলকেই সংক্রমিত করে।
Direct Action Virus:
এই ভাইরাসের মূল লক্ষ হলো আপনার কম্পিউটারের ডাটাকে প্রতিলিপি। যখন একটি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হয় তখনি এই ভাইরাসটি কাজ করে। এবং যেসব ফাইল এর পাথ AUTOEXEC.BAT উল্লেখ করা এই সকল ডিরেক্টরির ফাইলকেই সংক্রমিত করে।
Overwrite Virus
এই ধরনের ভাইরাসগুলি ফাইলের মধ্যে থাকা তথ্য ডিলিট করে দেয় এবং এটিকে সংক্রমিত করে। একবার সংক্রমিত হবার পর ফাইলগুলিকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
Directory Virus
এই ভাইরাকে ফাইল সিস্টেম ভাইরাস বা ক্লাস্টার ভাইরাসও বলা হয়। এটি ফাইলের অবস্থান নির্দেশ করে ফাইলের পাথ পরিবর্তন করে কম্পিউটারের ডিরেক্টরিকে সংক্রমিত করে।
Companion Virus
এই ধরনের ভাইরাস সাধারণত ফাইলের নামের অনুরূপ আরেকটি ফাইল তৈরি করে যার এক্সটেনশন ভিন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, যদি একটি ফাইলের নাম হয় “Arif.exe”। তবে ভাইরাসটি এটার নাম পরিবর্তন করে এর নাম দিবে “Arif.com”। তৈরিকৃত এই নতুন ফাইলটি সে লুকিয়ে রাখবে।
কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণের কারণ
চলুন দেখে নেই আমাদের কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণের সম্ভাব্য কারণগুলি:
অন্যদের সাথে ইমেজ, অডিও ফাইল, ভিডিও ফাইলসহ বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের সময়
যে সব ওয়েবসাইট ইতিপূর্বে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে আছে সেই সকল সাইট ভিজিট
স্প্যাম ইমেইল ওপেন ও এর অ্যাটাচমেন্ট ওপেন করা
ফ্রি গেম, সফ্টওয়্যার, মিডিয়া প্লেয়ার এবং বিভিন্ন ইউটিলিটিস ডাউনলোডের সময়
লাইসেন্স চুক্তিগুলি না পড়েই বিভিন্ন ধরণের সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা
কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাসগুলি এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ছড়িয়ে পরতে পারে। যেমন– নেটওয়ার্ক, ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট, USB ডিভাইস এসকল মাধ্যমেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেহেতু এখনকার তুলনায় প্রথমদিকে ডিভাইসগুলির মধ্যে সংযোগ অনেক কম ছিলো। তাই তখন কম্পিউটার ভাইরাস সাধারণত ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলো।
বর্তমান সময়ে ভাইরাসগুলি ছড়িয়ে পড়া আরো সহজতর হয়ে গেছে। কেননা বর্তমানে ইন্টারনেট যুক্ত ডিভাইসগুলির মধ্যে লিঙ্ক আদান–প্রদানের মাধ্যমে ভাইরাসগুলি ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ঠ সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আমেরিকার সাইবারসিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি অনুসারে সংক্রমিত ইমেইল অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে ভাইরাসগুলি ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে সাধারণ উপায়। আপনি হয়তো জানেন বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় সাইবার হামলার শিকার যেটা হয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক এর রিজার্ভ চুরি। সেটাও কিন্তু ইমেইলে পাঠানো একটি অ্যাটাচমেন্ট এর মাধ্যমেই।
কিভাবে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে?
এই উপসর্গগুলির কোনটি যদি আপনার কম্পিউটারে দেখতে পান তবে ধরে নিতে পারেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে।
- কম্পিউটার স্লো কাজ করছে বা কম্পিউটারের পারফরমেন্স কমে গেছে
- কম্পিউটারের আচরণগত পরিবর্তন হয়েছে
- কম্পিউটারের ডাটার বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছে
- ঘন ঘন কম্পিউটার ক্র্যাশ করছে
কিভাবে কম্পিউটার ভাইরাস দূর করবেন?
আপনার কম্পিউটার যদি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় তাহলে ভাইরাস দূর করা আপনার জন্য অপরিহার্য। এটা যত দ্রুত সম্ভব দূর করতে হবে। যেসব উপায়ে আপনি ভাইরাস দূর করতে পারেন এরমধ্যে অ্যান্টিভাইরাস অন্যতম।
অ্যান্টিভাইরাস আপনার কম্পিউটারে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া শনাক্ত করতে পারে এবং প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে দূর্দান্ত ভূমিকা পালন করে। যখন একটি ডিভাইস ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়ে যায় তখন অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে ভাইরাস দূর করাও একটা চ্যালেন্জিং কাজ হয়ে যায়।
তবে এটি ইনস্টল হয়ে গেলে ভাইরাস সংক্রমিত সফ্টওয়্যারগুলি স্ক্যান করবে এবং অ্যান্টিভাইরাসটি ভাইরাসগুলিকে দূর করতে উদ্যত হবে। যদি সয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস দূর না করা যায়, তবে একজন টেকনিশিয়ান থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
কিছু কম্পিউটারে ভাইরাস এর উদাহরণ
২০১৩ সালে বটনেট ভাইরাসটি গেমওভার জুয়েস পিয়ার-টু-পিয়ার ডাউনলোডিং সাইটগুলিকে ransomware বিতরণ এবং ব্যাঙ্কিং জালিয়াতি করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। যদিও বর্তমানে কয়েক হাজার ভাইরাস ইন্টারনেটে ঘোরাফেরা করে, তবে ভাইরাসগুলি তাদের নিজেদের আচরণে দিন দিন বৈচিত্র নিয়ে আসছে যেমন:
Worms: Worms হলো এমন এক ধরণের ভাইরাস যেটা একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাবহারকারীর কোন প্রকার কার্যকলাপের প্রয়োজন হয়না।
Torjans: Torjan এমন একটি ভাইরাস যা নেটওয়ার্ক বা বিভিন্ন ডিভাইসে নিজেকে ছড়িয়ে দেবার জন্য কম্পিউটারেই একটি প্রোগ্রামের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। এটি সাধারণত বৈধ বা সাধারণ সফ্টওয়্যার হিসেবেই আপনার কম্পিউটারে অবস্থান করে আপনি হয়তো এটিকে বারংবার ব্যাবহার করে আসছেন। এটিকে সহজে চেনা যায়না তাই এটি দ্বারা একজন ইউজার সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যেতে পারে।
Ransomware: Ransomware হলো এমন এক ধরণের ম্যালওয়্যার যা ব্যাবহারকারীর ফাইল এনক্রিপ্ট করে। এবং সেটা ফেরত দেওয়ার জন্য ইউজারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।
এটা এমন যে ধরুন আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কেউ চেঞ্জ করে দিছে। এরপর আপনাকে বলছে যে তাকে ৫হাজার টাকা দিলে আপনাকে পাসওয়ার্ড দিবে।
কম্পিউটার ভাইরাস থেকে কিভাবে কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখবেন?
একটা কথা আছে না, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। ঠিক একইভাবে এখানেও সেটাই বলা যায়। কম্পিউটারে ভাইরাস সংক্রমিত হবার পরে সমাধান করার চেয়ে ভাইরাস যেন সংক্রমিত না হয় সেই প্রদক্ষেপ নেওয়াই বেশি উত্তম। প্রাথমিকভাবে মোটামুটি আমাদের সবার কম্পিউটারেই কমবেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকেই। এজন্য সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কেও ভালো ধারণা রাখতে হবে।
কম্পিউটার ভাইরাস কি এই আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক হলো কম্পিউটারকে ভাইরাস হতে নিরাপদ রাখার পদ্ধতিগুলি। তাই আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে নিম্নোক্ত কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করুন:
যতটা সম্ভব ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল ব্যাবহার করুন
অ্যান্টিস্পাইওয়্যার সফ্টওয়্যার ব্যাবহারের চেষ্টা করুন
সর্বদা আপনার অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যারটি সুরক্ষিত রাখুন এবং অ্যান্টিস্পাইওয়্যার সফ্টওয়্যারটি আপডেট রাখুন
আপনার অপারেটিং সিস্টেমটি আপডেট রাখুন
আপনার ব্রাউজারের নিরাপত্তা সিস্টেম নিশ্চিত করুন
সন্দেহজনক ওয়েবসাইট সর্বদা এড়িয়ে চলুন
শুধুমাত্র আপনার বিশ্বাসযোগ্য অনুমোদিত সাইট থেকে আপনার কাঙ্খিত সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করুন
বিশেষ করে যেসব সফ্টওয়্যার বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং ফাইল-শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডাউনলোড করার পূর্বে ভালোমত যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে
যতটা সম্ভব অপরিচিতজনদের থেকে প্রাপ্ত সন্দেহজনক মেসেজ ওপেন থেকে বিরত থাকবেন
আপনার কাছে যদি কোন মেসেজ বা ইমেইল স্প্যাম বলে সন্দেহ হয় তবে সেটা ডিলিট করে দিন।
কম্পিউটার ভাইরাস থেকে সুরক্ষাবিহীন একটি কম্পিউটার অনেকটা খোলা দরজার মতো। নরমালি ফায়ারওয়ারগুলি আপনার কম্পিউটারের ভিতরে এবং বাইরের ট্রাফিক মনিটর করে। এছাড়াও অনলাইন স্ক্যামারদের থেকে আপনার পিসি কে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
ওয়েবরুট ইন্টারনেট সিকিউরিটি কমপ্লিট এবং ওয়েবরুট অ্যান্টিভাইরাস এর মত প্রোডাক্টগুলি ইন্টারনেটের সবচেয়ে বিপদজ্জনক দুইটি হুমকি থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে। সুরক্ষা দুইটি হলো- স্পাইওয়্যার এবং কম্পিউটার ভাইরাস। এরা ভাইরাসগুলিকে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। আপনার কম্পিউটারের সম্ভাব্য সবগুলি প্রবেশপথ পাহাড়া দেয় এমনকি সবচেয়ে বিপদজ্জনক এবং বিভ্রান্তিকর স্ট্রেইগুলিকেও প্রতিরোধ করে।
যদিও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার অ্যাভেলেবল। এগুলি হয়তো সাময়িকভাবে আপনাকে ভাইরাস থেকে সহায়তা করতে পারবে কিন্তু আপনার কম্পিউটারের নতুন নতুন অ্যাটাকগুলির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেনা।
তাই আপনার উচিত হবে আপ-টু-মিনিট এবং গ্যারান্টিযুক্ত অ্যান্টিভাইরাস ব্যাবহার করা।
আশা করি উপরের এই আর্টিকেল থেকে কম্পিউটার ভাইরাস কি এই সম্পর্কে মোটামুটি ভালো একটি একটা ধারণা পেয়েছেন।
এরপরও যদি কোন কিছু জানার থাকে তবে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করার।