ডিজিটাল বাংলাদেশ বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো বাঙালি জাতীর স্বপ্নগুলোর মধ্যে একটি। ২০২১ সালের মধ্যে, অর্থাৎ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর জাতী হিসেবে আমাদের স্বপ্ন ছিলো শান্তি, সমৃদ্ধি এং মর্যাদাসহ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া। বাংলাদেশ সরকারও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কিত অনেক ধরনের প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে করে ফেলেছে এবং বেশ কয়েকটির কাজ চলছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কাকে বলে
ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বোঝায় যে বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল বিষয় হলো সকল ধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা এবং শিক্ষার মাধ্যমে দেশের দারিদ্র দূর করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি পরিষেবা পৌছে দেওয়া। এতে যেন মানুষের জীবন সহজ এবং উন্নত হয়।
সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অনেক কাজ হয়েছে। সরকারি সেবা কম্পিউটারভিত্তিক হয়েছে, আর্থিক লেনদেন এখন খুবই সহজ, এছাড়াও ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমানে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিকভাবে মানুষের জীবন-যাত্রার মান আগের চেয়ে অনেকটা ভালো হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক কে
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ কথাটি সামনে আনেন ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন যে, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে।
এই পরিকল্পনাটির উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র, সমৃদ্ধশালী অর্থনীতি, ডিজিটাল সমাজ, ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদন ব্যবস্থা সর্বপরি জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক একটি দেশ গঠন করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ
এই ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস্তবায়নে সরকার সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনায় রুপকল্প ২০২১ অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ রয়েছে। এগুলো হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া, ই-গভমেন্ট এবং শিল্পখাতে তথ্য প্রযুক্তি।
এই চারটি স্তম্ভকে অনুসরণ করেই সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে কাজ করেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি
সারা বিশ্বেই বর্তমানে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। বাংলাদেশও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ব্যাকবোন তৈরি হয়েছে। যা গ্রাম এলাকা পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে।
Datareportal এর একটি তথ্য মতে বাংলাদেশে ২০২৩ সালে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ বাংলাদেশে মোট সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার কারীর সংখ্যা প্রায় ৪কোটি ৪৭লাখ। এটি মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৬শতাংশের সমান।
জরীপে আরো দেখা যায় যে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে সক্রিয় মোবাইল ফোনের কানেকশন ছিলো প্রায় ১৭ কোটি ৯৯ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ১০৪.৬ শতাংশ। অর্থাৎ জনসংখ্যার চেয়ে সক্রিয় মোবাইল সংখ্যাই বেশি।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আজ অনেক উন্নতি সাধন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্নই নয় বরং এটি আজ বাস্তবে পূর্ণতা পেয়েছে। বলা হয় যে বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৮ হাজার ৮০০ ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছেন, যেখানে প্রায় ৫০শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। এর ফলে একদিকে যেমন নারী-পুরুষের বৈষম্য, তেমনিভাবে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য এবং গ্রাম-শহরের বৈষম্যও অনেকটা দূর হয়েছে।
বর্তমানে এসব ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৭০ লাখেরও বেশি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ডিজিটাল সেন্টার থেকে জনগন প্রায় ৮০ কোটিরও বেশি সার্ভিস গ্রহন করেছে।
এরফলে জনগনের ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কর্মঘন্টা, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় এবং ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ যাতায়াত সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। [তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক]
ডিজিটাল প্রযুক্তির ফলে সাধারণ মানুষের যেমন জীবনযাত্রার মান সহজ হয়েছে পাশাপাশি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে। মানুষ এখন এটা বিশ্বাস করে যে ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি হাইটেক পার্ক, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, ফ্রিল্যান্সিং এর অগ্রগতি, এছাড়া বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজগুলোকে ডিজিটিলাইজ করতে গুরুত্বপূর্ ভূমিকা রাখে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা
আমরা বাংলাদেশের নাগরীক হিসেবে প্রত্যেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছি। বিভিন্নভাবে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:
ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে শতভাগ বিদ্যুতায়ন
গত ২১/০৩/২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদশের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর ভৌগলিক এলাকায় ৪৬২ টি উপজেলা রয়েছে যার প্রতিটিই বিদ্যুতায়ন করা সম্ভপর হয়েছে।
আমরা জানি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পূর্বশর্ত হলো দেশকে বিদ্যুতায়ন করা। কেননা যদি আপনার কাছে বিদ্যুৎ ই না থাকে তাহলে কোন ডিজিটাল সুবিধাই আপনি ভোগ করতে পারবেন না।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার
মোবাইল ফোনের ব্যবহার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার জন্য, মোবাইল ফোন প্রধান প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।
উপরে উল্লেখিত অংশ থেকে আমরা জানতে পারি যে, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে সক্রিয় মোবাইল ফোনের কানেকশন ছিলো প্রায় ১৭ কোটি ৯৯ লাখ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে মোবাইল ফোনের ম্যাধ্যমে ইন্টারনেটের অ্যাক্সেবিলিটি বাড়ানোর জন্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কেননা মোবাইল ফোনের ব্যবহার যত বাড়বে দেশ তত ডিজিটালাইজড হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রভাবে ই-কমার্স
ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোন কিছু বিক্রি করাকেই মূলত ই-কমার্স বিজনেস বলা হয়। বাংলাদেশে ই-কমার্স এর ব্যবসা দিন দিন বেড়েই চলেছে। রান্না ঘরের জিনিসপত্র থেকে শুরু করে বেডরুম পর্যন্ত সকল পণ্যই আমরা এখন ই-কমার্স বা অনলাইনে ক্রয় করতে পারি।
বাংলাদেশে বেশি কিছু ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলো গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে। মানুষ এসব মার্কেটপ্লেসে পণ্য অর্ডার করার সময়ই পেমেন্ট করতে দ্বিধা করেনা। আবার বেশ কিছু ই-কমার্স সাইটের জন্য জনগণ প্রতারণার স্বীকারও হয়েছে।
বিশেষ করে করোনা সময়কালীন থেকে ই কমার্সের জনপ্রিয়তা বহুগুনের বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুবিধাটি এখনও মানুষ ব্যবহার করছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ
শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাবার কারণে এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষা অর্জন করতে পারি যেমন, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ১০মিনিট স্কুলের মত অনলাইন স্কুল, ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত আর্টিকেল ইত্যাদি।
শিক্ষাক্ষেত্র ডিজিটালাইজ হবার কারণে আমরা অনেক সুবিধা পাচ্ছি যেমন আমাদের ব্যায় সাশ্রয়, সময় বাঁচা, শিক্ষক শিক্ষার্থীর সহজ যোগাযোগ, কার্যকরী শিক্ষা ইত্যাদি।
এখন আমরা অনলাইনে মূহুর্তের মধ্যে এমন কিছু শিখতে পারি যা ফিজিক্যালি হলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যেতো। Udemy এর মত প্ল্যাটফর্ম থেকে আমরা যেকোনো সময় যে কোনো কোর্স সম্পন্ন করে ফেলতে পারি, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সত্যিই ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
এছাড়া সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন, চাকুরীর আবেদন সকল কিছুই এখন ডিজিটালের ছোঁয়া।
স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ
স্বাস্থ্য খাতেও ডিজিটাল হিসেবে বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেছে। আমরা এখন ১৬২৬৩ নাম্বারের মাধ্যমে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারি। এই সেবাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রনালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত।
আমরা এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারদের লিস্ট, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডসহ তাদের ফি এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারি। এতে করে যেমন আমাদের খরচ সাশ্রয় হয় ঠিক একইভাবে সময়ও অপচয় রোধ করতে পারি।
ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ
বলা যায় ব্যাংকিং খাতে ডিজিটালের ছোঁয়া হয়তো সবচেয়ে বেশি লেগেছে। আজ থেকে ২০ বছর আগের ব্যাংকিং সেক্টর আর বর্তমানের ব্যাংকিং সেক্টরের মধ্যে যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
আমরা একদিকে যেমন অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সুবিধা ভোগ করছি তেমনিভাবে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে আমরা ব্যাংকে না গিয়েও টাকা জমা ও তুলতে পারছি। আমরা অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যমে আমাদের ব্যালেন্স চেক এবং টাকা ট্রান্সফার সহ বিভিন্ন রকম সুবিধা ভোগ করছি।
এছাড়া ব্যাংকিং খাতের আরেক সম্ভাবনার নাম ডিজিটাল ব্যাংকিং। আশা করা যাচ্ছে আগামিতে এটি আরো অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবে।
বিভিন্ন বিল প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া
আমার এখনো মনে আছে বেশ কয়েকবছর আগে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ আসতো বাড়িতে। এই বিদ্যুৎ বিল দেবার জন্য বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে চলে যেতাম কয়েক কিমি. দূরে এক ব্যাংকে। সেখানে সাইকেল রেখে লাইনে দাড়িঁয়ে যেতাম বিল দেবার জন্য। সেই কাঠ-খরা রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থেকে আসতে আসতে এগিয়ে যেতাম।
অথচ এখন বিদ্যুৎ বিল দেই ঘরে বসে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। কোন কোন মিটারের জন্য কার্ডের ব্যবস্থা করা আছে কার্ডে টাকা রিচার্জ করে মিটারে প্রবেশ করালে সয়ংক্রিয়ভাবেই টাকা মিটারে চলে যায়।
একইভাবে পানি, গ্যাস, শপিং এর পেমেন্ট ও ইন্টারনেটসহ যাবতীয় বিল আমরা মূহুর্তের মধ্যেই মোবাইলের মাধ্যমেই পরিশোধ করতে পারি।
যানবাহনে ডিজিটাল বাংলাদেশ
অন্যান্য খাতের মত যানবাহন খাতেও ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে। বর্তমানে আমরা বাস, ট্রেন ও বিমানের টিকিট ক্রয় করতে পারি অনলাইনেই। ফলে লাইনে দারিয়ে থাকার মত কষ্ট আর আমাদের করতে হয়না।
এছাড়াও খেয়াল করলে দেখবেন বর্তমান সময়ে পায়ে চালিত রিকসা ভ্যানের সংখ্যাও নাই বললেই চলে। সবাই এখন বিদ্যুৎ চালিত মোটরের সাহায্যে গাড়ি চালিয়ে থাকে। এতে করে একদম পত্যন্ত অঞ্চলও বলতে গেলেও ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে স্যাটেলাইট প্রেরণ
দেশ ডিজিটাল হবে অথচ একটা স্যাটেলাইট থাকবেনা তা কি হয়। অবশেষে ২০১৮ সালের ১২ মে রাত ২টা ১৪ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বহনকারী রকেট ফ্যালকন-৯ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়।
পরিশেষে
পরিশেষে এটা বলা যায় যে, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা আসলে একটি আর্টিকেলে লিখে শেষ করা অসম্ভব। বিশেষ কিছু খাতগুলোই এখানে তুলে ধরা হয়েছে এর বাইরেও অনেকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা আমরা উপভোগ করছি। অন্য একদিন অন্য কোনো আর্টিকেলে এটা নিয়ে আবার কথা হবে ইনশাআল্লাহ। যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।