বর্তমানে আমরা তথ্য প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। চারিদিকে বিভিন্নভাবে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে, নতুন নতুন উন্নত ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে। এরকমই একটি উন্নত প্রযুক্তি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এখন প্রযুক্তি এবং মেশিনের সাহায্যে কাজের মাধ্যমেও বাস্তবিক কাজের অনুভব পাওয়া যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করবো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এবং এর সুবিধা অসুবিধাসমূহ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি
ভার্চুয়াল অর্থ হলো অপার্থিব এবং রিয়েলিটি অর্থ হলো বাস্তবতা। অর্থাৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দ্বারা তৈরি এমন একটি কৃত্তিম পরিবেশ যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কৃত্তিমভাবে আমাদের এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয় যার মাধ্যমে আমরা কল্পনাকে বাস্তবে অনুভব করতে পারি। ভার্চুয়াল প্রযুক্তি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে যদি একটি উদাহরণ দেই তাহলে উল্লেখ করা যায় বসুন্ধরা মার্কেট এর Ultimate Fun Factory এর কথা। সেখানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিভিন্ন গেমস এর ব্যবস্থা করা আছে। একটি গেমস এর উদাহরণ হলো-
আপনাকে একটি চেয়ারে বসতে হবে। এরপর চোখে ভার্চুয়াল গেমের চশমা পরিয়ে দেওয়া হবে। আপনার হাতে দেওয়া হবে একটি খেলনা তলোয়ার। খেলা যখন শুরু হবে চেয়ার দুলতে থাকবে। মনে হবে আপনি একটি ঘোড়ার পিঠে বসে আছেন। এরপর দেখবেন সামনে থেকে আপনার শত্রুরা আপনাকে আক্রমণ করতে আসছে।
আপনার হাতে থাকা তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলেই দেখা যাবে তারা মারা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরই মনে হবে আপনি যেন সত্যি সত্যিই কোন যুদ্ধের ময়দানে আছেন।
আর এখানেই হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সার্থকতা। আশা করি আপনি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এই সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছেন।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর প্রকারভেদ
কয়েকধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি রয়েছে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এই সম্পর্কে জানতে আমাদের এর প্রকারভেদ সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
Non-Immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
Non-Immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার ভিত্তিক এমন একটি ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা যেখানে আপনি সফ্টওয়্যারের মধ্যে কোন অ্যাক্টিভিটি বা অক্ষর পরিবর্তন করতে পারবেন। এখানেও আপনার মনে হবে আপনি বর্তমান পরিবেশের বাহিরে অবস্থান করছেন।
ডেস্কটপ কম্পিউটারের পাশাপাশি শক্তিশালি ল্যাপটপের মাধ্যমেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রোগ্রাম চালানো যায়। যেহেতু ব্যবহারকারকারিদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া প্রয়োজন হয় তাই নির্মাতারাও বিষটির উপর জোর দিয়ে উন্নত ল্যাপটপ তৈরির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
Fully Immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
এটি non-immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিপরীতে সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ আপনাকে মনে হবে আপনি সম্পূর্ণভাবেই ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং আপনার সাথে যা কিছু ঘটছে তা বাস্তবেই ঘটছে।
এটি ব্যয়বহুল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবস্থা যার জন্য আপনাকে হেলমেট, গ্লাভস, সেন্স ডিটেক্টর সহ সম্পূর্ণ বডি কানেকশনের প্রয়োজন পরে। এগুলো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে।
Fully Immersive রিয়েলিটিতে আপনার আবেগ, প্রতিক্রিয়া এমনকি আপনার চোখের পলককেও শনাক্ত করে প্রোগ্রামটি চলে থাকে। যার কারণে আপনার মনে হবে যে আপনি ভার্চুয়াল জগতেই প্রকৃতপক্ষে আছেন।
Semi-Immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
Semi-Immersive ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আপনাকে Fully Immersive এবং Non-Immersive ভার্চুয়াল জগতের অনুভুতি দিবে। এখানে আপনি কম্পিউটার স্ক্রিনের মাধ্যমে একটি ভার্চুয়ালের জগতে পরিভ্রুমণ করতে পারেন। এরফলে ভার্চুয়াল জগতের সমস্ত কার্যক্রমই আপনি করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি সবই নিজের চোখে দেখতে পারবেন এবং অনুভব করতে পারবেন কিন্তু আপনার বাস্তবে কোন নড়াচড়া হবেনা। মাউসের মাধ্যমে আপনি এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় চলাফেরা করবেন কিন্তু বাস্তবে আপনি একটি চেয়ারেই বসে থাকবেন।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর ক্ষেত্রে Collaborative
Collaborative VR হলো এমন একটি ভার্চুয়াল জগত যেখানে বিভিন্ন মানুষ 3D অক্ষর ব্যবহার করে একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে। এর মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একই সময়ে ভার্চুয়াল পরিবেশে থাকতে, কথা বলতে এবং বিভিন্ন কাজ কাজ করতে পারে।
এ একটি জনপ্রিয় উদাহরণ হলো PUBG গেম। আপনি নিশ্চয় এই গেম সম্পর্কে শুনে থাকবেন। এখানে কয়েক ব্যবহারকারি একসঙ্গে গেম খেলতে পারে ভার্চুয়ালি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর Augmented Reality
অগমেন্টেড রিয়েলিটি এমন একটি প্রযুক্তিকে বোঝায় যা কম্পিউটার দ্বারা তৈরি কনটেন্ট এর সাথে বাস্তব পরিবেশকে একত্রিত করে। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী বাস্তব বিশ্বে থেকেও ভার্চুয়াল কোন কনটেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
Mixed Reality
Mixed reality হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা বাস্তব এবং ভার্চুয়াল বিষয়গুলিকে একত্রিত করে একটি নতুন পরিবেশ তৈরি হয়। এর মাধ্যমেও ভার্চুয়াল অবজেক্টগুলির সাথে বাস্তব জগতে থেকে যোগাযোগ করা যায়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদান
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অনুভব করে থাকি। এগুলির মাধ্যমে আমরা ভার্চুয়াল পরিবেশে ইনপুট দিতে বা কন্ট্রোল করে ভার্চুয়াল পরিবেশের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। চলুন তাহলে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানগুলি দেখে নেই তাহলে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এ সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারবো।
হেডসেট
ভিআর হেডসেট হলো সেই সমস্ত ব্যবহারকারীদের জন্য যারা নিজেদের ডিজিটাল জগতে সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত করতে চান। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দৃশ্যকে কম্পিউটার দ্বারা তৈরি দৃশ্য দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
স্ক্রিন এবং লেন্স
স্ক্রিন এবং লেন্স এর মাধ্যমে আমাদের কাছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে প্রকৃতপক্ষেই বাস্তব বলে মনে হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর লেটেন্সি
এর মাধ্যমে আপনি বাস্তব জগতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এটি ভার্চুয়াল জগত এবং বাস্তব জগতটাকে কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়। সাধারণত মানুষ ২০০ থেকৈ ২২০ ডিগ্রি পর্যন্ত কোণ বুঝতে পারে।
পজিশন ট্রাকিং
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য পজিশন ট্রাকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মহাকাশ গবেষণার জন্য অবস্থান ট্রাকিং আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ট্র্যাকিংয়ের কারণেই মহাকাশে ব্যবহারকারীরা অবাধে চলাচল করতে পারে।
এছাড়াও সাধারণ অঙ্গভঙ্গি যেমন মাথা নাড়ানো, উপরে নিচে, সামনে পিছনে এগুলোও ট্র্যাক করা সম্ভব।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর সুবিধা অসুবিধা
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অনেক ধরণের সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। একদিকে এর মাধ্যমে যেমন অসম্ভব কিছু লক্ষ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে যা বাস্তবে অর্জন করা নাও যেতে পারে। অন্যদিকে বাস্তব জগতে যা কিছু করা সম্ভব ভার্চুয়াল জগতে তার কার্যকারিতা সীমিত।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর সুবিধা
শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্নতি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শিক্ষার পদ্ধতি সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ত্রিমাত্রিক মডেলের মাধ্যমে শেখার সুযোগ পায়, যেমন বিজ্ঞান, মেডিকেল, ইতিহাস ইত্যাদি। এর মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়াই জটিল ধারণা সহজে বোঝা যায়।
প্রশিক্ষণ
বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন সামরিক, স্বাস্থ্যসেবা, বিমান চালনা, এবং নির্মাণের ক্ষেত্রে বাস্তব প্রশিক্ষণ বিপজ্জনক বা খরচসাপেক্ষ, সেখানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহার করে ঝুঁকি ছাড়াই বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব।
বিনোদন
ভিডিও গেমস এবং সিনেমা শিল্পে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল হেডসেট ব্যবহার করে গেম খেলতে বা সিনেমা দেখতে পারছেন, যা তাদেরকে সরাসরি অভিজ্ঞতার অংশ বানায় এবং তারা সম্পূর্ণভাবে গেম বা সিনেমার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা
মেডিকেল থেরাপি, যেমন PTSD, হতাশা এবং ভয়ভীতি কমানোর জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি রোগীদের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভয়ের সম্মুখীন হতে বা মানসিক চাপ মোকাবিলায় সহায়তা করে।
দূরবর্তী ভ্রমণ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে যে কেউ বাড়ি থেকে বের না হয়েই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করতে পারে। এটি ভার্চুয়াল ট্যুরের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান বা ঐতিহাসিক স্থানগুলি দেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
উৎপাদন এবং ডিজাইন
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য ও ভবন ডিজাইন করা সহজ এবং দক্ষ হয়ে উঠেছে। ডিজাইনগুলি ত্রিমাত্রিক আকারে পরীক্ষা করার সুযোগ থাকে, যা উন্নতির জন্য সময় ও খরচ সাশ্রয় করে।
সামাজিক সংযোগ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিটিং, ইভেন্ট এবং সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা যায়। এটি ব্যবহার করে মানুষ বাস্তবসম্মতভাবে অন্যান্যদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে, যা দূরত্বের বাধা দূর করে।
মার্কেটিং ও ব্যবসা
বিভিন্ন ব্যবসায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে পণ্য প্রদর্শন এবং মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কাস্টমাররা VR এর মাধ্যমে পণ্যটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন এবং পণ্যের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন, যা বিক্রয় বাড়াতে সহায়তা করে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর অসুবিধা
ব্যয়বহুল
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সিস্টেম, যেমন হেডসেট, কন্ট্রোলার এবং প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, অত্যন্ত ব্যয়বহুল হতে পারে। ব্যক্তিগত ব্যবহারকারী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়ের জন্য এই প্রযুক্তি গ্রহণ করা অনেক সময় আর্থিকভাবে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
স্বাস্থ্য সমস্যা
অনেক সময় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীদের মাথা ঘোরা, বমিভাব, চোখের চাপ, এবং ভার্চুয়াল মোশন সিকনেস হতে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে। এই সমস্যা যাদের ভিজ্যুয়াল বা সেন্সরি সিস্টেম দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারকারীরা অনেক সময় বাস্তব জগতের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলতে পারে। বাস্তব জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক ও বাস্তব জীবনের ইন্টারঅ্যাকশন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ফিজিক্যাল লিমিটেশন
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা পেতে একটি নির্দিষ্ট শারীরিক স্থান এবং আন্দোলনের প্রয়োজন হয়। অনেক ব্যবহারকারী ছোট স্থানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন না, কারণ এটি প্রায়শই আরও বেশি জায়গা এবং নিরাপত্তার প্রয়োজন।
প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা
বর্তমান ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি এখনও সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম নয়। অনেক সময় গ্রাফিক্সের মান, লেটেন্সি (বিলম্ব), এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে অভিজ্ঞতা অপ্রতুল বা ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে।
গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি
যখন ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় প্রবেশ করেন, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং কার্যকলাপ অনেক সময় ট্র্যাক করা হয়। এতে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা এবং সাইবার সিকিউরিটি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
অতিরিক্ত নির্ভরতা
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা তৈরি হলে, বাস্তব জীবন সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার দক্ষতা কমে যেতে পারে। ব্যবহারকারীরা ভার্চুয়াল জগতেই বেশি সময় ব্যয় করতে শুরু করলে বাস্তব জীবনের জটিলতাগুলো থেকে পালাতে পারে।
পরিশেষে
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একে এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই। এর বিভিন্ন সুবিধা আমরা যেমন ব্যবহার করে আসছি তেমনিভাবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আমরা দেখলাম। বিশেষ করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের দিক থেকে আমাদের সর্তক থাকতে হবে।
আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এই সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনাকে সহোযোগিতা করার।