মাউস কি? মাউসের বিভিন্ন অংশ ও এর কাজসমূহ

 

মাউস কি যাদের মোটামুটি কম্পিউটার সম্পর্কে একটা ধারণা আছে তাদের অবশ্যই মাউস সম্পর্কে জানা আছে। এটি দেখতে কিছুটা ডিম্বাকার হাতে নিয়ে টেবিলের উপর নাড়াচাড়া করলে ডিসপ্লে তে একটি কারসার নড়াচড়া করে। এই আর্টিকেলে আমি মাউস সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জানার চেষ্টা করি যে মাউসটা আসলে কি?

 

মাউস কি

মাউস হলো একটি ছোট হার্ডওয়্যার ইনপুট ডিভাইস। এটি কম্পিউটার স্ক্রিনে কার্সারের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্যাবহারকারীকে কম্পিউটারের টেক্স, ফাইল, আইকন মুভ বা সিলেক্ট করতে সাহায্য করে। 

 

এটি ব্যাবহার করার জন্য একটি সমতল জায়গার প্রয়োজন। আপনি চাইলে টেবিলের উপর রেখেও কাজ করতে পারেন। বাজারে সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের মাউস প্যাড পাওয়া যায়, যার উপরে মাউস স্মুথলি কাজ করে।  

 

ব্যাবহারকারী মাউসটি যেদিকে সরান ডিসপ্লেতে কারসারটি সেদিকেই সরে যায়। মাউস নামটি এর আকার থেকেই নেওয়া হয়েছে। এটি দেখতে ছোট, কর্ডযুক্ত এবং উপবৃত্তাকার আকৃতির ডিভাইস যা দেখতে অনেকটা ইদুঁরের মতো। মাউসের সাথে সংযোগকারি যে তার তাকে ইদুঁরের লেজের সাথে কল্পনা করা যেতে পারে। 

 

কিছু মাউসে অতিরিক্ত কিছু বাটন থাকে, যা অনেক কমান্ডের জন্য বরাদ্দ করা থাকে। যেমন রোলার এবং বাম পাশের বোতামের মাঝখনে একটি ছোট বোতাম থাকে যেটা ডাবল ক্লিকের কাজ করে। মাউস উদ্ভাবনকে কম্পিউটারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি কিবোর্ড এর ব্যাবহার কমাতে সাহায্য করে।

 

মাউসের ইতিহাস

১৯৬৩ সলে, ডগলাস ইঙ্গলবার্ট Zerox PARC তে কাজ করার জসময মাউস আবিষ্কার করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথমন সংস্করণ এর কাজ করেন যেটি Center for data technology কোর্পোরেশনে কাজ করার জন্য তৈরি হয়েছিল।

 

তখন মাউটি দুটি চাকা আর একটি তালবাজী হাতে বিস্তারিত থাকতো, এবং এটি বর্ড এবং প্লাস্টিক কেসে রাখা ছিলো। এরপরে মাউসের ডিজাইন এবং প্রযুক্তি নির্মাণ যুগের পর যুগ উন্নত হয়ে আসছে। 

 

Alto’s এর সাফল্যের অভাবের কারণে, অ্যাপল লিসা কম্পিউটার ব্যাপকভাবে মাউসের অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার করা শুরু করে। পুরানো মাউসগুলি একটি কর্ড বা একটি তারের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত ছিলো। 

 

সেখানে আধুনিক মাউসগুলি অপটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যাবহার করে দৃশ্যমান বা অদৃশ্য আলোর রশ্মি দ্বারা কার্সারের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক কোম্পানির মাউস ব্লুটুথ এবং রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি সহ বিভিন্ন ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রদান করে।

 

 

 

মাউস কেন ব্যাবহার করা হয়

আপনার নিশ্চয় আগেই একটা আইডি ছিলো যে মাউস কেন ব্যাবহার করা হয় বা কি কাজ করা হয়। মাউস কি এর এই পর্যায়ে আমরা মাউসের কাজ সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। একটি মাউস কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাংশনে পারফর্ম করতে সম্ভব যা নিচে উল্লেখ করা হলো:

 

মাউস পয়েন্টার মুভ: একটি মাউসের প্রধান কাজ হলো এর কারসরকে ইচ্ছেমত জায়গায় সরানো। আমরা ডিসপ্লেতে সিলেক্ট এর মত একইট আইকন দেখতে পাই এটিই হলো কারসর। 

 

সিলেক্ট: মাউসের মাধ্যমে আমরা টেক্সট, ফাইল, ফোল্ডারসহ বিভিন্ন ফাইল সিলেক্ট করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ যদি বলি আপনি একসাথে অনেকগুলি ফাইল কাউকে পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে সবগুলি একসাথে সিলেক্ট করে পাঠাতে পারেন। 

 

কোন প্রোগ্রাম ওপেন বা চালনা করা: আপনি মাউস দ্বারা কোন ফোল্ডার, অডিও, ভিডিও যে কোন  কিছু খুলতে পারবেন। আপনি যেটি খুলতে চান তার উপরে কারসর রেখে ডাবল ক্লিক করলেই খুলে যাবে। 

 

ড্রাগ এবং ড্রপ: আপনি কোন কিছু সিলেক্ট করা অবস্থায় মাউসের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ড্রাগ এবং ড্রপ এর মাধ্যমে সরাতে পারবেন। 

 

স্ক্রল আপ এবং ডাউন: আপনি যদি অনেক বড় পেজ বা একাধিক পেজ এর কোন ওয়েব সাইট ঢুকেন বা কোন পিডিএফ বই ওপেন করে সেক্ষেত্রে আপনাকে উপর নিচ যেতে হবে। আর এই উপরে নিচেই আপনি মাউস স্ক্রল এর মাধ্যমে যেতে পারবেন। 

 

অন্যান্য ফাংশনের কাজ: বেশিরভাগ ডেক্সটপ মাউসের বোতাম থাকে, যা প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোগ্রাম করা থাকে। তাই এসব বোতামে ক্লিক করে আপনি প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন। 

 

গেম খেলা: গেম খেলার জন্য মাউস আসলেও অনেক উপকারি, মাউসের মাধ্যমে আপনি অনেক গেম স্মুথলি খেলতে পারবেন। এছাড়াও গেমের মধ্যে কোন বস্তু নির্বাচন করার জন্য মাউস ব্যাবহার করা হয়। 

 

সমন্বয় কার্যক্রম: মাউস দিয়ে আপনি অনেক ধরনের কম্বিনেশন কাজ করতে পারবেন। যেমন Ctr চেপে ধরে যদি রোলার হাতের দিকে ঘোড়ান তবে পেইজ সাইজ ছোট হবে। বাইরে দিকে ঘোরালে পেইজ সাইজ বড় হবে।

 

কম্পিউটার মাউসের বিভিন্ন পার্টস

 

মাউস কি এই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের মাউসের পার্টসগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। এবার চলুন আমরা মাউসের পার্টস সম্পর্কে জেনে আসি।

 

বাটন

সাধারণত আমরা যে মাউসগুলি দেখি তাতে লক্ষ করা যায় যে এটির দুটি বাটন থাকে, লেফট এবং রাইট বাটন। এই বাটনগুলি যেকোন অবজেক্ট বা টেক্সট কে ম্যানিপুলেট করার জন্য ব্যাবহার করা হয়। পূর্বের মাউসগুলিতে শুধুমাত্র একটি বোতাম থাকতো। 

 

বেশিরভাগ প্রারম্ভিক অ্যাপল কম্পিউটার মাউসে শুধুমাত্র একটি বোতাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমান প্রায় সব মাউসেরই দুইটি বাটন থাকে। আপনি কম্পিউটার সিস্টেম কনফিগারেশনের মাধ্যমে বাম কোনটা হবে বা ডান কোনটা হবে সেটি সিলেক্ট করে দিতে পারবেন।

 

 

 বল, লেজার অথবা এলইডি

মাউসটি যদি মেকানিক্যাল মাউস হয় তবে একটি বল এবং রোলার ব্যাবহার করে। আবার একটি অপটিক্যাল মাউস একটি লেজার বা এলইডি ব্যাবহার করে। এই পার্টসগুলি মাউসকে X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর গতিবিধি ট্র্যাক করে এবং একইভাবে ডিসপ্লেতে কারসর নড়াচড়া করে। 

 

সার্কিট বোর্ড

একটি সার্কিট বোর্ড মাউসের ভিতরে অবস্থান করে। মাউস থেকে প্রাপ্ত সমস্ত সংকেত, তথ্য, ক্লিক এবং অন্যান্য তথ্য কম্পিউটারে প্রেরণ করতে সার্কিট বোর্ড ব্যাবহৃত হয়। 

 

এই বোর্ডে ইলেকট্রনিক উপাদান যেমন ডায়োড, রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর সহ আরোও অনেক কিছু অন্তভূক্ত থাকে। এটি ইলেকট্রনিক সিগন্যাল আকারে ইনপুট গ্রহন করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে।

 

মাউস হুইল

মাউসের লেফ্ট এবং রাইট বাটনের মাঝখানে চাকার মত একটি বস্তু থাকে যাকে মাউস হুইল বলে। এটি বড় কোন পেইজের উপরে নিচে যেতে সাহায্য করে।

 

ক্যাবল/ওয়্যারলেস রিসিভার

কর্ডেড মাউসে একটি ক্যাবল রয়েছে যা এটিকে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে। মাউস যদি ওয়্যারলেস হয় তবে তারবিহীন সিগন্যাল যেমন ব্লুটুথ, ইনফ্রারেড, রেডিও সিগন্যাল এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয়। 

তবে এটির জন্য কম্পিউটারে ইনপুট হবার জন্য একটি USB রিসিভারের প্রয়োজন হয়।

 

 

মাইক্রোপ্রসেসর

 

এটি একটি প্রসেসর যা মাউসের সার্কিট বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা থাকে। মাউসের কোন কাজই এই মাইক্রোপ্রসেসর ছাড়া সম্ভব না। কেননা মাইক্রোপ্রসেসরকে মাউসের মস্তিস্ক হিসেবে ধরা হয়।

 

অন্যান্য পার্টস

 

ল্যাপটপে মাউসের কিছু উপাদান প্রয়োজন হয়না। ল্যাপটপে একটি টাচপ্যাড রয়েছে এটিই মূলত মাউসের কাজ করে। এই টাচপ্যাডে আমরা আঙ্গুল যেদিকে সরাই ডিসপ্লেতে কারসরও সেদিকেই সরে যায়। আবার যখন টাচপ্যাড এর উপর সাময়িক সময়ের জন্য টাচ করি তখন এটি ক্লিকের কাজ করে।

 

 মাউসের ধরণ

এবার আমরা মাউসের ধরণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। কম্পিউটারের জন্য বিভিন্ন ধরণের মাউস ব্যাবহার করা হয়। বর্তমান আধুনিক সময়ে, একটি অপটিক্যাল মাউস হলো একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্য সবচেয়ে কমন একটি মাউস। 

এটি USB পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয়, তাই একে USB মাউসও বলা হয়। 

নিচে বিভিন্ন ধরনের মাউসের তালিকা দেওয়া হলো:



1.  অপটিক্যাল

2.  জয়স্টিক

3.  মেকানিক্যাল

4.  কর্ডলেস(ওয়্যারলেস)

5.  ফুটমাউস

6.  টাচপ্যাড

7.  ট্র্যাকবল

8.  ট্র্যাকপয়েন্ট

9.  জেমাউস

10.              ইন্টেলিমাউস (হুইল মাউস)

11.              লেজার মাউস

 

 

অপটিক্যাল মাউস

এটি একটি উন্নত কম্পিউটার পয়েন্টিং ডিভাইস, যা ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল মাইক্রোসফ্ট দ্বারা ইন্ট্রোডিউসড করা হয়। এটি লেজার বা লাইট ইমিটিং ডায়োড (LED) ব্যাবহার করে এর মুভমেন্ট ট্র্যাক করা হয়। 

ওয়াকিং সারফেস থেকে এটি প্রতি সেকেন্ডে হাজার বা তারও বেশি মাইক্রোস্কোপিক স্ন্যাপশট নেয়। মাউস সরানোর সময় এর চিত্রগুলিও পরিবর্তীত হয়ে যায়। 

 

এটি ঘূর্ণায়মান গোলকের গতি পর্যবেক্ষণ করার পরিবর্তে, প্রতিফলিত আলোর পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করে গতিবিধি সনাক্ত করে। 

 

সব অপটিক্যাল মাউসও ওয়্যারলেস নয়, মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করতে এই ধরনের মাউস অপটিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে। একটি অপটিক্যাল মাউস ওয়্যারলেস এবং কর্ডেড উভয় ভার্সনই পাওয়া যায়।

 

 

জয়স্টিক

এটি একটি ইনপুট ডিভাইস যা সবদিকেই চলে এবং এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি মাউসের মতই, কিন্তু মাউসের ক্ষেত্রে আপনি যদি মাউস সরাতে গিয়ে থামেন তবে সেক্ষেত্রে কার্সারটিও বন্ধ হয়ে যাবে বা দেখা যাবেনা। কিন্তু জয়স্টিকে, এর পয়েন্টার থামেনা বরং জয়স্টিকে যে দিকে ডিরেক্টশন আছে সেদিকে ক্রমাগত চলতে থাকে।

 

তাই পয়েন্টারকে থামাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে জয়স্টিককে তার সোজা অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে। বেশিরভাগ জয়স্টিকে দুটি বোতাম থাকে, যা ট্রিগার নামেও পরিচিত।

 

মেকানিক্যাল মাউস

মেকানিক্যাল মাউসকে বল মাউসও বলা হয়ে থাকে। এর নিচের দিকে একটি রাবার বা ধাতব বল থাকে। এতে সেন্সর রয়েছে, যখন ব্যাবহারকারী মাউসকে যেকোনো দিকে মুভ করে তখন এর সেন্সস এর গতিবিধি শনাক্ত করে এবং মাউস পয়েন্টারটিকে অন স্ক্রীনে একই দিকে নিয়ে যায়। 

 

বলা যায় যে অপটিক্যাল মাউস বর্তমানে মেকানিক্যাল মাউসের জায়গা নিয়ে নিয়েছে।

 

 

কর্ডলেস (ওয়্যারলেস) মাউস

এটি এমন একটি ইনপুট ডিভাইস যা কোন প্রকার তার ছাড়াই কম্পিউটারের সাথে সংযোগ হয়। সময়ের সাথে সাথে, প্রায় ২০০০ সালের দিকে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এসময় ব্লুটুথ, ইনফ্রারেড এবং রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি এর মত প্রযুক্তিগুলি অন্তর্ভুক্ত হতে শুরু করে। 

 

এক্ষেত্রে একটি USB রিসিভার কম্পিউটারে ইনপুট করা থাকে যা মাউস থেকে প্রাপ্ত সংকেতগুলি গ্রহণ করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে। 

 

১৯৮৪ সালে, প্রথম ওয়্যারলেস আবিষ্কার করা হয়েছিল এবং এটির নামকরণ করা হয়েছিল লজিটেক মেটাফোর।

 

 

ফুটমাউস

আপনারা হয়তো নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এখানে নিশ্চয় পায়ের কোন কাজ আছে বা এই মাউসটি হয়তো পা দিয়ে চালাতে হয়। আসলেই তাই এটি এমন একটি মাউস যা ব্যাবহারকারীরা তাদের পায়ের সাহায্যেই চালাতে পারে বা কার্সার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 

এই মাউস ডেভেলপ করার কারণ হলো ব্যাবহারকারী যেন কিবোর্ড ব্যাবহারের সময়ও মাউসের কাজ করতে পারে। অর্থাৎ একই সময় যেন একজন ব্যাবহারকারি মাউস এবং কিবোর্ড এর কাজ করতে পারে।

 

 

টাচপ্যাড

আমরা যারা ল্যাপটপ ব্যাবহার করি তারা মোটামুটি সবাই টাচপ্যাডের সাথে পরিচিত আছি। এটি একটি সমতল কন্ট্রোল পৃষ্ঠ। এটি হাতের আঙ্গুলের গতিবিধির উপর নির্ভর করে স্ক্রিনে কার্সর এর গতিবিধি পরিবর্তীত হয়। এটি প্রাথমিকভাবেই ল্যাপটপ থেকেই বিল্ড করা থাকে যা মাউসের বিকল্প হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। 

 

এটি হাতের আঙ্গুল দিয়ে চালানোর জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। এটি কমন মাউসের মতই টাচপ্যাডের নিচে দুটি বোতামও অন্তর্ভুক্ত থাকে যা ডান এবং বাম বোতামের মত কাজ করে। কিছু আধুনিক টাচপ্যাডে মাল্টিটাচ প্রযুক্তি রয়েছে, যা দ্বারা ব্যাবহারকারী বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে। 

 

যেমন এক আঙ্গুল ড্রাগ করলে একধরণের কাজ আবার দুই আঙ্গুল ড্রাগ করলে আলাদা কোন কাজ করতে পারে। যেমন দুই আঙ্গুল ব্যাবহার করে আপনি জুম আউট এবং জুম ইন করতে পারবেন।

 

 

ট্র্যাকবল

একটি একটি হার্ডওয়্যার ইনপুট ডিভাইস যা মাউসের মতো একই রকম কাজ করে। তবে এটির উপরে নড়াচড়ার জন্য একটি বল রয়েছে যা ব্যাবহারকারীদের কার্সারকে যেকোনো দিকে সরাতে সাহায্য করে। 

 

এই মাউসটিকে আসলে তেমন সরানোর প্রয়োজন হয়না কেননা, পুরো মাউসটিকে সরানোর পরিবর্তে আপনি উপরের বলটি রোল করলেই আপনার কাজ হয়ে যাবে।

 

 

ট্র্যাকপয়েন্ট

এটি একটি কার্সর কন্ট্রোল ডিভাইস, এটি স্টাইল পয়েন্টার, পয়েন্টিং স্টিক বা নাব নামেও পরিচিত। ১৯৯২ সালে, IBM পোর্টেবল কম্পিউটারের সাথে ব্যবহৃত প্রথ ট্র্যাকপয়েন্ট চালু করেন। 

আমরা বর্তমানে কিছু ল্যাপটপেও এই ট্র্যাকপয়েন্ট দেখতে পারি। এটি কিবোর্ড এর মাঝখানে বিল্ড করা থাকে। সাধাণত কিবোর্ডের G,H বা B এর পাশে এটিকে দেখা যায়।

 

 

জে মাউস

এটি সাধারণত পুরানো পোর্টেবল কম্পিউটার ডিভাইসগুলির সাথে ব্যাবহৃত হতো। এটি কিবোর্ডের “J” কি ব্যাবহার করে এর ফাংশগুলি পরিচালনা করা হতো। তাই এটি জেমাউস নামেও পরিচিত।  

এটিতে সাধারণত অন্যান্য মাউসের মতো স্পেসবারের নীচে বাম এবং ডান দুটি বোতাম থাকে। বর্তমানে এটি আর ব্যাবহার করা হয়না কেননা এটি ব্যাবহার করা অনেকটা জটিল ছিলো।

 

 

ইন্টেলি মাউস

 

এটি সর্বপ্রথম ১৯৯৬সালের ২২শে জুলাই মাইক্রোসফ্ট দ্বারা ডেভেলপ করা হয়। এটি স্ক্রল মাউস বা হুইল মাউস নামেও পরিচিত, যা বাম এবং ডান বাটনের সাথে একটি চাকাঅন্তর্ভুক্ত করা থাকে। এই চাকা একটি ওয়েব পেইজ কে উপরে বা নিচে স্ক্রোল করতে ব্যবহার করা হয়।

লেজার মাউস

 

এটি একধরনের অপটিক্যাল মাউস, লেজার মাউস এটির গতিবিধি সনাক্ত করতে লেজার আলো ব্যাবহার করে। অন্যান্য অপটিক্যাল মাউসের মত এর ভিতরে কোন মুভিং পার্টস নাই। এটি অপটিক্যাল মাউসের তুলনায় প্রায় ২০গুণ বেশি সেনসিটিভ এবং নিভূলতা প্রদান করে।

 

এই ছিলো মাউস কি এই সম্পর্কে কিছু কথা আশা করি উপরের এই আর্টিকেল থেকে মাউস কি এই সম্পর্কে মোটামুটি ভালো একটি একটা ধারণা পেয়েছেন। 

 

এরপরও যদি কোন কিছু জানার থাকে তবে আমাদের সাথে

যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করার।

 

Leave a Comment