সাইবার অপরাধ কি? সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায়

বর্তমানে আমরা তথ্য প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। আমাদের দৈনন্দিন সব কাজই যেন কোনো না কোনোভাবে তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। এইযে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা এত উপকৃত হচ্ছি, তেমনিভাবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কেউ আমাদের ক্ষতি করার জন্যও ওত পেতে থাকে। তাই তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের সময় কিভাবে আমরা সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবো সেটাই এখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

 

সাইবার অপরাধ কি? সাইবার অপরাধ এর কারণ

তথ্য প্রযুক্তি, ইন্টারনেট, কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অনলাইনে যে সকল অপরাধ করা হয় তাকেই সাধারণত সাইবার অপরাধ বলা হয়। 

সাইবার অপরাধ এর কারণ যদি খুজঁতে গেলে দেখা যায় এর বেশিরভাগই অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়। 

 

মাঝেমধ্যে  অর্থ উপার্জন ছাড়াও সাইবার অপরাধ অন্য কোনো কারণে অন্যের কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেও হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত রাজনৈতিক বা ব্যাক্তিগত কারণে হয়ে থাকে।

 

সাইবার অপরাধী কারা

সাইবার অপরাধ সাধারণত ব্যক্তি বা কোনো সংস্থা দ্বারা সংগঠিত হতে পারে। কিছু সাইবার অপরাধীরা খুবই সুসংগঠিত অ্যাডভান্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং টেকনিক্যালি তারা খুবই দক্ষ। বাকিরা হয়তো নতুন, হয়তো তারা হ্যাকিং প্র্যাক্টিস করছে। 

 

সাইবার অপরাধীরা সাধারণত তাদের নিরাপদ জগত “ডার্ক ওয়েব” এ অ্যাভেইলেইবল থাকে এবং সেখানেই তারা তাদের সার্ভিস প্রোভাইড করে। 

 

প্রত্যেক হ্যাকারই কিন্তু সাইবার অপরাধী নয়। কিছু ক্ষেত্রে এটি একটি অর্গানাইজেশনের সিস্টেমের দূর্বলতা খুজে বের করতে সাহায্য করে। পরবর্তীতে যেন প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে পারে, একে “হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার” বলা হয়। 

 

যাইহোক, হ্যাকিংকে তখনই সাইবার অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যখন এটা কোনো ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে। একে ব্ল্যাক হ্যাক হ্যাট হ্যাকার বা সাইবার অপরাধীও বলা হয়। 

 

তবে সব সাইবার অপরাধীদের জন্য হ্যাকিংয়ের দক্ষতার প্রয়োজন হয়না, কেননা সব সাইবার অপরাধই হ্যাকিংয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। 

 

সাইবার অপরাধীরা এমন ব্যক্তিও হতে পারে যারা অনলালে অবৈধ পণ্যের ব্যাবসা বা কোনো ড্রাগের ব্যাবসা করছে। নিচে সাইবার অপরাধীদের কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

 

  • ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার

  • সাইবারস্টাকার

  • সাইবার সন্ত্রাসী

  • স্ক্যামার

 

সাইবার অপরাধের ধরন

নিচে সাইবার অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হলো:

 

  • ইমেইলের মাধ্যমে প্রতারণা

  • ভুয়া পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট ওপেনিং (ব্যক্তিগত তথ্য চুরি বা অন্য কারণে ব্যবহার করা হয়)

  • সাইবার বুলিং

  • ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ডের ডাটা চুরি

  • সেলস বা কর্পোরেট অফিসের ডাটা চুরি

  • সাইবার এক্সটর্শন বা কোনো আক্রমণের হুমকি আসলে সেটা প্রতিরোধ করার জন্য অর্থ দাবি করা। 

  • র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণ

  • সাইবার গোয়েন্দাগিরি (হ্যাকাররা সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠানের ডাটা অ্যাক্সেস করে)

  • কপিরাইট আইন অমান্য

  • অবৈধ জুয়ার খেলা বা এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকা

  • অবৈধ জিনিস বিক্রি করা

  • চাইল্ড পর্নোগ্রাফি জনিত কোনো কাজের সাথে জড়িত থাকা

 

সাইবার অপরাধীরা প্রথমে একটি কম্পিউটারকে টার্গেট করে সেটাকে ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত করে। পরবর্তীতে ডিভাইসটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে বা ডিভাইসটির কাজকে ব্যহত করে। ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ডাটা ডিলিট বা চুরি করতে পারে। 


এছাড়াও সাইবার অপরাধীরা আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ বা নেটওয়ার্ক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে পারে। অথবা কোনো সফ্টওয়্যার ব্যবহারে গ্রাহকদের বাধা দিতে পারে। এই আক্রমণকে DoS (denial-of-service) অ্যাটাকও বলা হয়। আক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন সাইবার সিকিউরিটি কি

 

সাইবার অপরাধ এর প্রভাব

Cybersecurity Ventures এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে সাইবার অপরাধের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ ট্রিলিয়ন স্পর্শ করবে। প্রতিবেদন থেকে এটাও জানা যায় যে সাইবার অপরাধ প্রতিবছর ১৫শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

 

সাইবার অপরাধের ফলে মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় আর্থিকভাবে। তবে ব্যাবসার ক্ষেত্রেও এটা মারাত্মক প্রভাবে ফেলে। নিচে সাইবার অপরাধ এর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

 

  • কোনো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান যদি সাইবার অপরাধের শিকার হয় তবে এই প্রতিষ্ঠানে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের ধারণা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ফলে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগে সমস্যা হতে পারে।

  • সাইবার আক্রমন সংগঠিত হলে এটা থেকে বের হতে বা নিরাপত্তার জোরদার করতে আরো বর্ধিত খরচের প্রয়োজন হবে। যার কারণে পরবর্তীতে ঋণ নেওয়া বা মূলধন সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। 

  • প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রাহকের সংবেদনশীল ডাটা থাকতে পারে এবং এসব ডাটা হারিয়ে গেলে পরবর্তীতে জরিমানাও দেওয়া লাগতে পারে।

  • সাইবার আক্রমনের ফলে কোনো ব্যান্ডিং অথবা খ্যাতি হারাতে পারে, ফলে ব্যাবসার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আস্থা কমে যেতে পারে। 

  • সাইবার আক্রমনের ফলে সরাসরি খরচও বাড়তে পারে যেমন সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া, বীমার খরচ ইত্যাদি।

 

দিন দিন সাইবার অপরাধ কেন বাড়ছে

আমরা জানি যে প্রযুক্তি দিন দিন উন্নতি সাধন করছে। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষও প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। কিছু দুঃষ্কৃতকারি মানুষের এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে অনলাইনে অপরাধ সংগঠিত করছে। 

 

বতর্মান যুগের বেশিরভাগ স্মার্ট ডিভাইসই ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। এতে করে যেমন মানুষ সুবিধা ভোগ করছে আবার কিছু ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে। 

 

ঝুকিঁগুলির মধ্যে একটি হলো সাইবার অপরাধের ব্যাপক বৃদ্ধি। বিভিন্ন ডিভাইস এবং এসব প্রযুক্তিগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেই। 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সাইবার স্পেসে থাকা বিশ্বের বিভিন্ন মানুষজনে সেকেন্ডের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা সংযুক্ত করে দেয়। 

 

সাইবার অপরাধের কয়েকটি কারণ নিচে তালিকাভুক্ত করা হলো:

 

দূর্বল ডিভাইস: দূর্বল ডিভাইস এবং দূর্বল নিরাপত্তা ব্যাবস্থা সাইবার অপরাধ বেড়ে যাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন। কেননা সাইবার অপরাধীরা এসব ডিভাইসে সহজেই আক্রমণ করতে পারে।

 

ব্যাক্তিগত কারণ: অনেক সময় ব্যাক্তিগত আক্রশ থেকেও সাইবার অপরাধ করতে পারে। কাউকে ছোট করা, অসম্মান করা, সমাজে ইমেজ নষ্ট করতেও অনেকে সাইবার অপরাধ করে থাকে। 

 

অর্থনৈতিক কারণ: সাইবার অপরাধ সবচেয়ে বেশি সংগঠিত হয়ে থাকে অর্থনৈতিক কারণে বা কাউকে ব্ল্যাক মেইল করে টাকা আদায় করার জন্য।

 

সাইবার অপরাধের শাস্তি কি

এবার আমরা সাইবার অপরাধের শাস্তি কি এ সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করবো। বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ নামে একটি আইন করা হয়। চলুন একনজরে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক:

  • যদি কোন ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে পেনাল কোডের(দণ্ডবিধি) সেকশন ৪৯৯ এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেন, সে জন্য তিনি ২৫লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।

  • মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণার জন্য দন্ডের বিধান রয়েছে। যদি কেউ এই অপরাধ করেন, তাহলে তিনি অনধিক ৭ বছর কারাদন্ডে বা অনধিক ১কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

  • যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করার বা উসকানি অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূলবোধেল ওপর আঘাত করে, তাহলে এই কাজ হবে একটি অপরাধ। 

 

কোন ব্যক্তি এই অপরাধ সংঘটন করলে তিনি অনধিক দুই বছর কারাডণ্ডে বা অনধিক ১০লাখ টাকা অর্থডণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

 

  • যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটার উপক্রম হয়, তাহলে ওই ব্যক্তির ৫বছর কারাদণ্ড, বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

  • সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধের জন্য অনাধিক ৭বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের দণ্ডিত হবেন।

  • হ্যাকিংয়ের জন্য অনধিক ১৪ বছর পর্যন্তু কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।


সূত্র: প্রথম আলো

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায়

এতক্ষণ আমরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম, এখন আমরা সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। সাইবার অপরাধ এর অনেক প্রতিকার রয়েছে শুধুমাত্র না জানার কারণে অনেকেই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাই চলুন আমরা জেনে নেই সাইবার অপরাধের শিকার হলে করণীয় কি। 

 

আপনি কয়েকভাবে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন যেমন:

 

  • সরাসরি

  • অ্যাপের মাধ্যমে

  • ফোনের মাধ্যমে

  • ইমেইল



সরাসরি: সরাসরি অভিযোগ করার ক্ষেত্রে আপনাকে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করতে হবে। যদি ঢাকায় হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে-

 

ডিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম ইউনিট কার্যলয়- ৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্মরণী, রমনা, ঢাকা। 

 

অন্যথায় নিজ এলাকার থানায় মামলা দায়ের করতে হবে। 

 

অ্যাপের মাধ্যমে: অ্যাপের মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন। এজন্য আপনাকে গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে  ‘Hello CMP’ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপটিতে প্রবেশ করলেই অভিযোগ করার প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পেয়ে যাবে। 

 

ফোনের মাধ্যমে: অভিযোগ জানানোর সবচেয়ে দ্রুততম এবং সহজ মাধ্যম হলো ফোন। আমাদের একটা জাতীয় জরুরী সেবা নাম্বার আছে ৯৯৯। এই নাম্বার দিয়েই আপনি সকল ধরনের সেবা পেয়ে যাবেন। 

 

এছাড়াও আপনি সরাসরি ফোনে কল দিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। আপনাদের সুবিদার্থে নিচে কিছু নাম্বার দেওয়া হলো:

 

  • সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ডিভিশন, ডিবি – ০১৭৬৯৬৯১৫২২

  • পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন ইউনিট – ০১৩২০০০০৮৮৮

  • সিআইডি সাইবার ইউনিট – ০১৭৩০৩৩৬১৯৭/০১৩২০০১০১৪৮

  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)সেল – ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮

  • ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ০১৭৬৯৬৯১৫২২

 

ইমেইল: আপনারা চাইলে ‍ইমেইলের মাধ্যমেও অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনিয় ইমেইল নিচে উল্লেখ করা হলো:


বিঃদ্রঃ এই অংশটুকুর জন্য Khairul Hasan এর লিঙ্কডিন প্রোফাইলের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায়

এবার আমরা সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানবো। 

 

  • সফ্টওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেট রাখুন

  • সম্ভব হলে অ্যান্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যাবহার করুন এবং আপডেট রাখুন। যদিও উইন্ডোজ-১০ এর ক্ষেত্রে এটি বিল্ড করাই থাকে এবং খুব ভালো কাজও করে। 

  • সোস্যাল মিডিয়া, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সব জায়গায় শক্তিশালি পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন।

  • অনলাইন বা সোস্যাল মিডিয়ায় আপনার সেনসিটিভ তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকুন।

  • কখনোই স্প্যাম ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না।

  • স্প্যাম মেইলের কোনো লিঙ্ক এবং অবিশ্বস্ত কোনো ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। 

  • সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে না হলে কখনোই কোথাও বা কাউকে ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না। 

  • আপনি কোন ওয়েবসাইটগুলিতে ভিজিট করেন সেই URLs গুলো নিয়ে সতর্ক থাকবেন।

  • আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর উপর নজর রাখুন।

  • আপনার সন্তানকে ইন্টারনেট ব্যাবহারের ঝুকি সম্পর্কে জানান এবং তা থেকে পরিত্রাণের উপায়গুলি শেয়ার করুন।

  • সম্ভব হলে পাবলিক নেটওয়ার্ক (ফ্রি ওয়াইফাই) ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।

  • নিজের ব্যাতিত অন্যের ডিভাইসে কোনো অ্যাকাউন্ট যেমন ফেসবুক, ইমো, ইনস্ট্রাগ্রাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লগইন করলে ব্যাবহার শেষে অবশ্যই লগআউট করবেন। 

  • এসএমএস এর মাধ্যমে যদি পরিচিত কারো বিপদের কথা বলে টাকা চায় তাহলে টাকা দেবার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিবেন। 

  • নাম পরিচয় লুকানো কোনো ব্যক্তিকে ফ্রেন্ডস লিস্টে অ্যাড করা থেকে বিরত থাকুন। এমন কেউ দেখা করতে চাইলে সেটা থেকেও বিরত থাকুন।

  • নিজের ব্যবহারের কোনো ডিভাইস অন্যকে দেবার সময় সতর্ক থাকুন যেন ব্যক্তিগত কোনো তথ্য যেন সে অ্যাক্সেস করতে না পারে। ল্যাপটপ এবং ফোন বিক্রি করতে চাইলে ল্যাপটপ উইন্ডোজ এবং মোবাইল ফোন ফরম্যাট দিয়ে দিতে পারলে ভালো হয়।

  • বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যাবহার থেকে সতর্ক থাকুন।

 

আশা করছি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে ভালো একটা আইডিয়া পেয়েছেন। অনলাইন জগত থেকে নিজে সুরক্ষিত থাকুন অন্যজনকে সুরক্ষিত রাখুন। আপনার পরিবার পরিজনদের এই বিষয়ে সতর্ক করুন তারাও যেন এটি মেনে চলে। 

এই ছিলো সাইবার অপরাধ সম্পর্কে কিছু কথা-বার্তা আশা করছি এটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

Leave a Comment