বর্তমানে আমরা তথ্য প্রযুক্তি যুগে বসবাস করছি। তথ্য প্রযুক্তি বা ইন্টারনেটের সাথে যেন আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছি। এজন্য সাইবার সিকিউরিটি কি এ সম্পর্কেও আমাদের ভালো ধারণা রাখতে হবে। যেন অনলাইনে কেউ আমাদের কোনো ক্ষতিগ্রস্থ করতে না পারে।
দেখা যা যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কৃষকও সারাদিন কাজ সেরে এসে রাত্রিবেলা একটু ফেসবুক বা ইউটিউবে ঢুকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে। অথবা কেউ কেউ পড়াশোনা তেমন না জানলেও অনলাইনের বিভিন্ন গেম খেলায় আসক্ত হয়ে গেছে। এইযে এতো এতো ইন্টারনেটের ব্যাবহার এর যেমন সুবিধা আছে, তেমনি কিছু অসুবিধাও আছে।
তাই, এর অসুবিধা বা ক্ষতিকর বিষয়গুলিকে কিভাবে মোকাবেলা করতে পারি তার উপর ভিত্তি করেই লিখা আমার এই সাইবার সিকিউরিটি কি এই ব্লগটি। আশা করি আপনারা ইন্টারনেট জগত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কিছুটা ধারণা পাবে।
আমরা জানি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হলো সেই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সিস্টেমের সংমিশ্রণ। এসব সিস্টেমে দূর্বল সিকিউরিটি সিস্টেম থাকতে পারে যার জন্য অবশ্যই সিস্টেমটিকে সিকিউরিটির দিক দিয়ে আরো উন্নত করা প্রয়োজন। নিচে সাইবার সিকিউরিটির কিছু ধরণ উল্লেখ করা হলো:
এটিবিভিন্নধরনেরথ্রেডেরবিরুদ্ধেনিরাপত্তানিশ্চিতকরতেবিভিন্নক্লাউডসার্ভিসযেমন AWS, Azure এবং Google এরমতসার্ভিসগুলিব্যাবহারকরে।
ডাটা রিকোভারি এবং ব্যাবসার ধারাবাহিকতার পরিকল্পনা
এটি প্রসেস, মনিটরিং, সতর্কতা এবং কোন ম্যালিসিওস সংগঠিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে।
সাইবার সিকিউরিটির লক্ষ
সাইবারসিকিউরিটিরমূল লক্ষহলোডাটারসুরক্ষানিশ্চিতকরা।সিকিউরিটিসম্প্রদায়সাইবারআক্রমণথেকেডাটারক্ষাকরারজন্যতিনটিত্রিভুজনীতিপ্রদানকরে।এইনীতিকে CIA ট্রায়াডবলাহয়।
CIA মডেলটিএকটিপ্রতিষ্ঠানেরইনফরমেশনসিকিউরিটিনীতিনির্দেশকরারজন্যডিজাইনকরাহয়েছে।যখনকোনসিকিউরিটিরক্রুটিপাওয়াযায়, তখনদেখাযায়এরএকাধিকসিকিউরিটিলঙ্ঘকরাহয়েছে।
CIA মডেলটিকেতিনটিভাগেভাগকরাহয়যথা– কনফিডেনশিয়ালিটি, ইনটিগ্রিটিএবংঅ্যাভেইলেবিলিটি।চলুনএগুলিসম্পর্কেএকটুবিস্তারিতজানাযাক।
ইন্ট্রিগ্রিটি এটা নিশ্চিত করে যে ডাটা অথেনটিক, অ্যাকুরেট থাকবে অননুমোদিত ব্যাক্তির মোডিফিকেশন থেকে। ডাটার কোন প্রকার পরিবর্তন ঘটলে বা ক্ষতি থেকে সংবেদনশীল ইনফরমেশনকে রক্ষা করার জন্য কিছু ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
অ্যাভেইলেবিলিটি
এই নীতিটি ইনফরমেশনকে সর্বদা তার অনুমোদিত ব্যক্তিদের জন্য অ্যাভেইলেবল এবং ব্যাবহার উপযোগি করে তুলে।
এটি এমন একটি সফ্টওয়্যার যা একটি ডিভাইসে প্রবেশ করে ব্যাবহারকারীর ফাইল এবং ডাটা এনক্রিপ্ট করে সেগুলি অব্যাবহারযোগ্য বা মুছে দেয়। এরপর নষ্ট করা ফাইলগুলি ফেরত দেবার শর্ত হিসেবে আর্থিক মুক্তিপণ দাবি করে।
ওর্মস (Worms)
এটি এমন একটি সফ্টওয়্যার যা মানুষের কোন প্রকার ইন্টারেকশন ছাড়াই নিজে নিজেই ডিভাইস থেকে ডিভাইসে ছড়িয়ে পরে। ডাটা চুরি বা ক্ষতি করার জন্য তাদের কোন প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হবার প্রয়োজন পড়েনা।
অ্যাডওয়্যার
এটি একটি বিজ্ঞাপনের সফ্টওয়্যার যা ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে এবং ডিভাইসে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এটি অনাকাঙ্খিত প্রোগ্রাম যেটা ব্যাবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ইনস্টল হয়ে যায়।
1 thought on “সাইবার সিকিউরিটি কি”