বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা অনেকাংশেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক কাজ আমাদের জন্য সহজ হয়ে গেছে। মুহূর্তের মধ্যেই আমরা যেমন বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি একইভাবে নতুন বন্ধুও বানাতে পারি। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করবো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমন একটি মাধ্যম যেখানে ওয়েবসাইট বা এপ্লিকেশনের মাধমে বিভিন্ন কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারি, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি।
বর্তমানে সারাবিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে আমরা এমন ভাবে জড়িয়ে পড়েছি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া আমাদের দিনটাই কাটে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন আমাদের নিত্যদিনের বন্ধু।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কি কি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে আমরা সবাই মোটামুটি জানি এবং কিছু কিছু মাধ্যম আমরা ব্যবহার ও করে থাকি। যেমন-
১.ফেসবুক
২.হোয়াটস অ্যাপ
৩.ইনস্টাগ্রাম
৪.টিকটক
৫.টুইটার
৬.লিংকডিন
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক
ফেসবুক বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। যারা ফেসবুক ব্যবহার করে তারা ফেসবুকে বন্ধু বানাতে পারে, তাদের সাথে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কথা বলতে পারে, ভিডিও, অডিও কলে কথা বলতে পারে এমনকি তাদের ব্যক্তিগত তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।
ফেসবুক ব্যবহারকারী একজনের সাথে আরেকজন বা পরিচিত কারোর সাথে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে। বর্তমানে ফেসবুক এত বেশি জনপ্রিয় যে, ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ এখন লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।
ফেসবুকে যে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজের পেজ খুলে ব্যবসা করতে পারে এবং বিভিন্ন জিনিস ক্রয় বিক্রয় করা যায়। Statista এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫কোটি ৫৬ লাখ।
২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে হোয়াটস অ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপ একটি বহুল জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্ক মাধ্যম। ফেসবুকের মত হোয়াট অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় না। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ হলো একটি বড় প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে ব্যবসা এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে মেসেজ করা যায়, গ্রুপ করা যায় এমন কি গ্রুপে ভিডিও অডিও কলে কথা বলা যায়। এছাড়াও ছবি আদান-প্রদান করা যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ এতোটাই জনপ্রিয় যে, বর্তমানে ৩.০৩ বিলিয়ন লোক তাদের পরিবার, আত্নীয় -স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং অফিসের ক্লাইন্টদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রাম হলো ছবি, ভিডিও এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবা। এটির মাধ্যমে ছবি, ভিডিও, গল্প এবং লাইফ স্টিমিং শেয়ার করা হয়। ইনস্টাগ্রাম বর্তমান সময়ে অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে পার্সোনাল লাইফ বা বিজনেস লাইফ দুটো ক্ষেএেই পজিটিভ ভুমিকা পালন করে ইনস্টাগ্রাম।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে টিকটক
টিকটক হলো এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া, যার মাধ্যমে যে কেউ খুব সহজে বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করতে পারে। টিকটকে নিজেই নিজের ভিডিও বানিয়ে তাতে গান সেট করে আপলোড দেয়া যায়।
টিকটকে নাচ,গান,অভিনয়, কবিতা, কৌতুক,ফানি ভিডিও এবং রান্নার ভিডিও ইত্যাদি সহ আরও বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখা যায়। এটি অন্যদের সাথে শেয়ার করা যায় এবং বিনোদন পাওয়া যায়।
শুধু অন্যদের সাথে শেয়ার করাই নয়,আপনি চাইলে এইখানে থেকে আপনি হাজারো মানুষের ভিডিও দেখতে পারবেন। আপনি যে কোনো ভিডিও আপলোড দেয়ার সাথে সাথে তা পৌঁছে যাবে হাজারো মানুষের কাছে।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে টুইটার
টুইটার একটি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইক্রোব্লগিং সাইট। টুইটার হলো মার্কিন মাইক্রোব্লগিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পরিষেবা। যারা টুইটার ব্যবহার করে তারা টুইটারকে “টুইট” নামে চিনে। টুইটারও বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়।
এটির মাধ্যমে পরিবার, বন্ধু বান্ধবদের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা যায়। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতো টুইটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারাবিশ্বের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
প্রতিদিন টুইটারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের মনের ভাব,অভিজ্ঞতা ও চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করে। টুইটারের মাধ্যমে ব্যবসা করা যায় এবং বিভিন্ন পন্য কাস্টমারদের কাছে খুব দ্রুত পৌঁছে দেয়া যায়।
৬. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে লিংকডিন
লিঙ্কডইন হলো একটি প্রফেশনাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা মূলত চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে ব্যবহারকারীরা তাদের কর্মজীবন সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করতে, নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে, এবং বিভিন্ন চাকরি বা ব্যবসায়িক তথ্য শেয়ার এবং খুজেঁ পেতে পারেন। লিঙ্কডইন প্রোফাইলটি একটি ডিজিটাল সিভি হিসেবে কাজ করে, যেখানে কর্মক্ষেত্রের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা প্রদর্শিত হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা
আধুনিক বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে ও ছবি, ভিডিও এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে৷ বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউব,হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম এর মত আরো অনেক অ্যাপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
দ্রুত যোগাযোগ: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা দেশি-বিদেশি সকলের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি। মেসেজ, অডিও কল এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে আমরা সবার সাথে যেমন দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি একইভাবে পুরাতন বন্ধুদের সাথেও কানেক্টেড থাকতে পারি।
তথ্য সংগ্রহ: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। দেশির এবং বিদেশি খবরাখবর, শিক্ষামুলক তথ্য সংগ্রহ, চাকরি সংক্রান্ত খবরের মত আরো বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য পাওয়া যায়।
শিক্ষাক্ষেত্রে: বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তি এতোটাই উন্নত যে সারাবিশ্বে এখন শিক্ষাক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখন নিজেদের মধ্যে গ্রুপ করে তথ্য এবং নোট আদান-প্রদান করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে।
চাকরিক্ষেত্রে: চাকরি ক্ষেত্রে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি। অফিসের বিভিন্ন কাজ বা ক্লাইন্ডদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়।
ব্যবসা-বাণিজ্য: ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি বড় প্লাটফর্ম। ফেসবুক মার্কেটিং সহ বিভিন্ন প্ল্যাটর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা বা ডলার ইনকাম করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনিভাবে এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। এবার আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। চলুন জেনে আসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিকগুলো
১. সামাজিক বিচ্ছিন্নতা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের জীবন যাত্রাকে অন্যরকম করে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা এতোটাই আসক্ত হয়ে পড়েছি যে, আমরা দিনের অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটিয়ে দেই।
একসাথে বসে পরিবার, পরিজন,বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা আলাপ আলোচনা করা হয় না। এইভাবে আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি যারফলে আমাদের মধ্যে একাকিত্ব এবং বিষণ্ণতার চলে আসে।
২. পড়াশুনার ক্ষতি
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি এতোটাই উন্নত যে আমরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশুনা করি। আমরা যে কোন প্রশ্নের উত্তর অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে যাই। আমরা নিজেদের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাতে চাই না, এতে আমাদের চিন্তা ভাবনা শক্তি কমে যায়।
তাছাড়া আমরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি। আর এইমাধ্যম গুলো আামাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন বা বিলাসবহুল জিনিস নিয়ে আসে। ফলে আমরা একের পর এক ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট দেখতে থাকি, এতে আমাদের পড়াশুনার ক্ষতি হয়।
৩. স্বাস্থ্যের ক্ষতি
অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনলাইনে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ি যে, দিনের বেশিরভাগ সময় ঘরে বসেই কাটিয়ে দেই। বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করা,হাটাহাটি করা,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া এইসব থেকে অনেকটাই দূরে চলে যাই।
এতে আমাদের শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে পারে। যেমন :চোখে ঝাপসা দেখা, স্থুলতা, হার্টের সমস্যা হওয়া, রক্ত চলাচল কম হওয়ার মতো কঠিন রোগ হতে পারে এবং স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৪. কাজের ক্ষতি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন করার জন্য কাজ করতে হবে। কিন্তু এইকাজের মধ্যে যদি আমরা ফোন বা কম্পিউটারে কোন নাটক বা সিরিজ দেখি তাহলে আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এতে আমাদের কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায় এবং কাজে ভুলও বেশি হয়।
৫. আর্থিক ক্ষতি
বর্তমানে আমরা অনলাইন থেকে অনেক জিনিস ক্রয় থাকি। কিন্তু এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো আমাদের অপ্রয়োজনীয় তবুও আবেগের বশে আমরা তা ক্রয় করে ফেলি। এতে আমাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
৬. ঘুমের ব্যাঘাত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা এতটাই আসক্ত হয়েছি যে ঘুমের আগে বিছানায় শুয়ে অনলাইনে ঘুরাঘুরি করা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এতে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭. গোপনীয়তা নষ্টের ঝুঁকি
বর্তমানে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে থাকি। অতিমাত্রায় অনলাইনে আসক্ত হলে গোপনীয় তথ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পরতে পারে। এতে আমরা হ্যাকিং বা সাইবার অপরাধের শিকার হতে পারি। তাই আমাদের সবসময় সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
৮. মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর যেসব দিক রয়েছে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মাসনিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি। আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য মানসিক শান্তির খুব প্রয়োজন। কিন্তু আজকাল ইন্টারনেটে আসক্তি হওয়ায় আমরা মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারি না। এর ফলে আমাদের মধ্যে একাকিত্বতা, বিষণ্ণতা, হতাশা এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৯. আচরণ ও অভ্যাসে প্রভাব
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে যুবক ও তরুণরা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তাদের আচার আচরণের ও অভ্যাসের পরিবর্তন আসতে পারে। আর এই সামাজিক মাধ্যম এতোটাই ভয়ংকর যে, খুব সহজেই যুবক যুবতী বিপথে পরিচালিত হতে পারে।
১০. অনৈতিকতার প্রভাব
আমাদের চারপাশে অনেক অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এই অনৈতিক কাজগুলো করা হয়। এইসব অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে কিশোর ও তরুণেরা। তারা জুয়া, মদ্যপান, পর্নোগ্রাফি ও মানবপাচারের মতো অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। এতে তাদের ভবিষ্যতে ভয়াবহ দূর্যোগ নেমে আসে।
পরিশেষে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন খারাপ দিক ও রয়েছে। আমরা সবাই চেষ্টা করবো সামাজিক মাধ্যমের ভালোর দিক ব্যবহার করতে। এতে আমরা ভবিষ্যতে উন্নতি করতে পারব। তাই আমাদের সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক এবং এর উপকার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনাকে সহযোগিতা করার।