কম্পিউটার

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কি এবং পড়ার যোগ্যতা

লাখো কিশোর-কিশোর-কিশোরীর স্বপ্নের ক্যারিয়ার হলো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংদের চাহিদাও প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আজ আমরা এটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কি

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং হলো এমন একটি শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম যেখানে আপনি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। পরবর্তীতে এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজে নিজে কোনো সফটওয়্যার অথবা হার্ডওয়্যার তৈরিতে অবদান রাখতে পারবেন। 

 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীরা শিখে কিভাবে মাইক্রোপিচ, সার্কিট, প্রসেসর, কন্ডাক্টরসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইস কিভাবে সিস্টেমে কাজ করে। তারা কম্পিউটারের ফার্মওয়্যারগুলিকে ডেভেলপ করে, ফার্মওয়্যার এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যেটি অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যৈ সম্পর্ক স্থাপন করে। 

 

একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার কম্পিউটারের সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার, মেমরি চিপ এবং আউটপুট ডিভাইসগুলির সাথে সমন্বয়ে কাজ করে। একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আপনি আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্ট অথবা স্পিচ প্রসেসিং নিয়ে কাজ করতে পারেন।

 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কি

একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অনেক ধরনের কাজ করে থাকেন, মূলত এটা নির্ভর করে তিনি কোন বিষয়ের উপর পারদর্শি। সাধারণভাবে, একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরনের লক্ষে তারা কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর তাদের দক্ষতা প্রয়োগ করে। 

 

তারা সাধারণত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা এক্সপার্ট হতে পারে। 

 

  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং সফটওয়্যার ডিজাইনের উপর ফোকাস করে থাকেন। তারা সিস্টেম সফটওয়্যার তৈরি এবং মেইনটেইন করে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে।

  •  হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটারের ফিজিক্যাল কমপোন্যান্ট ডিজাইন বা ডেভেলপ করে থাকে যেমন প্রসেসর, মেমরি এবং স্টোরেজ। তারা মূলত সিস্টেম ইন্ট্রিগেশনের কাজ করে থাকে যেন হার্ডওয়্যার কম্পোন্যান্টগুলি নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। 

  • নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক প্ল্যান, ডিজাইন এবং কমিউনিকেশন সিস্টেম মেইনটেইন করে থাকে। তারা LAN,  MAN এবং WAN ইন্টারনেটের দক্ষতা এবং নিরাপদ ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে। 

 

একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব ডিজাইন থেকে শুরু করে অপারেশন বিশ্লেষণ এবং সফটওয়্যার আপডেট এবং সিস্টেম অপারেশনের বিভিন্ন দিক পর্যন্ত বৃস্তৃত। 

 

সাইবার সিকিউরিটি, পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল লজিক ডিজাইন, এবং কম্পিউটার আর্কিটেকচারের মত উদীয়মান ক্ষেত্রগুলিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের ক্যারিয়ার আরো ভালো অবস্থানে যেতে পারে। 

 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ইফেক্টিভ কমিউনিকেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা তাদের প্রায়ই কমপ্লেক্স টেকনিক্যাল তথ্যগুলি নন-টেকনিক্যাল সহকর্মী, ক্লাইন্ট বা ভেন্ডরের কাছে পৌঁছে দিতে হয়।

 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা কোথায় কাজ করেন

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত গবেষণা ল্যাব, আইটি কোম্পানি, প্রাইভেট সেক্টর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজ করে থাকে। আপনি যদি একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চান তবে আপনাকে এটাও বিবেচনা করা উচিত যে আপনি কম্পিউটারের কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে চান। আপনার নির্ধারিত বিষয়ের উপর পূর্বে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

 

আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন বা ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পরেন তবে আপনি চাকুরীর বিজ্ঞপ্তিগুলি দেখতে পারেন। বর্তমানে কোন বিষয়ের উপর চাকুরী কেমন কোনটার চাহিদা বেশি, কোনটার বেতন বেশি ইত্যাদি। আপনি যদি এখনও চাকুরীর জন্য প্রস্তুত নাও থাকেন তারপরও আপনার উচিত হবে চাকুরীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখা।

 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্পেশিয়ালাইজেশন

সাধারণত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি বলতে সার্বিক বিষয়গুলি বোঝায়। এর বাইরে আপনি চাইলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ফোকাশ করে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।  এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • হার্ডওয়্যার সিস্টেম

  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং

  • রোবটিকস অ্যান্ড সাইবারনেটিকস

  • এমবেডেড সিস্টেম

  • কম্পিউটার গ্রাফিক্স অ্যান্ড ভিজ্যুয়ালাইজেশন

  • মেডিক্যাল ইমেজ কম্পিউটিং

  • কম্পিউটার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি

 

উপরের ক্ষেত্রগুলি থেকে যেকোনো একটি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে আপনি যদি এর উপরে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় এর মাধ্যমে আপনি ভালো কোন জব করতে পারবেন। 

ক্যারিয়ার হিসেবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কেমন

 

ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ক্যারিয়ার হিসেবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনার ক্যারিয়ার কোনদিকে নিতে চান সেটি নির্ভর করে আপনার পছন্দ, ভালো-লাগা অথবা নির্দিষ্ট ফিল্ডে কাজের পারদর্শিতা উপর। 

 

আপনি যদি প্রবলেম সলভিং, ক্রৃটিক্যাল চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা, শক্তিশালী গাণিতিক এবং অ্যানালাইটিক বিষয়গুলির উপর পারদর্শি হয়ে থাকেন তাহলে  কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং হতে পারে আপনার জন্য সেরা ক্যারিয়ার। 

 

প্রযুক্তির অগ্রগতি অব্যাহত থাকায় দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এটি একজন ইঞ্জিনিয়ারের চাকুরী জীবনকে নিশ্চিত করে। যাদের জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ক্যারিয়ার ভালো হবে তাদের সম্পর্কে কিছু আইডিয়া নিচে দেওয়া হলো:

 

  • টেকনোলজি সম্পর্কে যারা উৎসাহি এবং প্রযুক্তির সকল আপডেট নিউজ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। 

  • কোন কিছু বিস্তারিতভাবে, জটিল নিদর্শন এবং সিস্টেমগুলি সনাক্ত এবং অ্যানালাইজ করার প্রখর ক্ষমতা যাদের আছে।

  • কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা, নন-টেকনিক্যাল মানুষের কাছে কমপ্লেক্স টেকনিক্যাল বিষয়গুলিকে সহজে বোঝানোর দক্ষতা।

  • নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ পূরণের জন্য টিমের সকল সহকর্মীকে সহোযোগিতা করার মানসিকতা। 

  • অ্যাডাপ্টটেবল এবং ওপেন মাইন্ড এর মানুষ, যিনি দ্রুত পরিবর্তনশীল টেকনোলজিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে

  • টেকনোলজির উপর কৌতুহলী এবং বিদ্যামন প্রযুক্তি অথবা নতুনভাবে ডেভেলপের উপায় খুজঁছেন।

 

চাকুরীক্ষেত্রে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা

বিভিন্ন টেকনোলজি সেক্টরে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের অসাধারণ চাহিদা রয়েছে। যেহেতু আমরা দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর অনেকটা নির্ভর হয়ে পড়েছি, তাই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা প্রতিটি সেক্টরে বাড়ছে। 

 

দেখা যায় যে, বর্তমানে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই তাদের ওয়াই-ফাই সংযোগ, মেইটেইন, ফাইবার অপটিক কেবল, কম্পিউটার সিস্টেমের সমস্যার সমাধান, ডাটা মেইনটেইন অর্থাৎ এমআইএস এর তথ্য সংরক্ষণের জন্য তারা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। নিচে এমন কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:



  • ডাটা সফট সিস্টেম, বিজেআইটি, সাউথটেক, টাইগারআইটি এর মত প্রতিষ্ঠানগুলি সফটওয়্যার ডিজাইন, হার্ডওয়্যার তৈরি, উন্নত মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম তৈরির মতো প্রজেক্টগুলির জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে থাকে। 

  • বিভিন্ন টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানগুলি সেলুলার নেটওয়ার্ক এবং ব্রডব্যান্ড সার্ভিসসহ তাদের নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার ডিজাইনের জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। 

  • AT&T এর Verizon এর মত টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলি সেলুলার নেটওয়ার্ক এবং ব্রডব্যান্ড সার্ভিস সহ তাদের ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার ডিজাইন, বাস্তবায়ন এবং মেইনটেন্যান্স করার জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে থাকে। 

  • অটোমোটিভ কোম্পানি যেমন, টেসলা এবং জেনারেল মোটরসের মত স্বয়ংচালিত সংস্থাগুলি অটোমেটিক ড্রাইভিং সিস্টেম, ইলেক্ট্রিক পরিবহন টেকনোলজি কোম্পানিগুিলি তাদের সিস্টেম উন্নত করতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে থাকে।

  • হেল্থকেয়ার সংস্থা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি মেডিক্যাল ডিভাইস তৈরি করতে, হেল্থ ইনফরমেশন সিস্টেমকে বিকশিত করতে এছাড়া কমপ্লেক্স বায়োমেডিক্যাল ডাটা অ্যানালাইজ করতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে থাকে। 

  • স্ট্যার্ট-আপ এবং ছোট ব্যবসা, যারা প্রায়ই তাদের আইটি ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার তৈরি করতে, বজায় রাখতে এবং ক্রিয়েটিভ ইনোভেশন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের উপর নির্ভর করে। 

  • সরকারি সংস্থাগুলি সাইবার নিরাপত্তা, ডাটা ম্যানেজমেন্ট এবং পাবলিক সার্ভিস সফটওয়্যার উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রোজেক্টের জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে থাকে। 

 

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানজুরে বিভিন্ন ধরনের কমপ্লেক্স কাজ অ্যানালাইসিস করার জন্য, নতুন কিছু উদ্ভাবন করার জন্য বিশ্বব্যাপি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা রয়েছে। তাদের বহুমুখী দক্ষতা এবং সেই দক্ষতা আজকের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে তাদরে অমূল্য করে তুলছে।

 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্যতা

আপনি যদি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান তাহলে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা হলো আপনাকে মানসিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বাকিটা আপনি আপনার যোগ্যতা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের তাদের ক্ষেত্রে সফল হওয়ার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

 

অ্যাডাপ্টাবিলিটি

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ক্যারিয়ার গড়ার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এটি প্রতিনিয়তা পরিবর্তীত হচ্ছে। আপনি আজ একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখলেন ‍সেটা ২-৩ বছর পর নাও থাকতে পারে। হতে পারে নতুন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এসে সেই বাজার দখল করে নিছে।

 

তাই এই মুহুর্তে আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে গেলে নতুন ল্যাঙ্গুয়েজটাও শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। এটি যেমন কষ্টসাধ্য আবার অনেকে এটা পছন্দও করে, আসলে নতুন কিছু শেখার মধ্যে অন্যরকম একটা মজা আছে। 

 

একজন সফল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের নতুন কোনো টেকনোলজি আসার সাথে সাথে সেটা সেখার আগ্রহ থাকে এবং সেটি সে যত দ্রুত সম্ভব শিখে ফেলে।

 

কোডিং

কোডিং হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকে। একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের তার ক্যারিয়ার জীবনে সফল হতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের কোডিং সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আপনার যদি কোডিং ভালো না লাগে কোডিং এ যদি মজা না পান তাহলে এই ক্যারিয়ার পছন্দ না করাই ভালো হবে।

 

কমিউনিকেশন

একজন ভালো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে আপনাকে একজন ভালো কমিউনিকেটর হতে হবে। কেননা আপনাকে সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম তৈরি করতে প্রায়ই টিমের সাথে কাজ করতে হবে। 

 

কোন একটি সমস্যা সমাধানের জন্য অন্য কারো সাথে কমিউনিকেশন করার প্রয়োজন হতে পারে। অথবা অন্য কাউকে কোন একটি সমস্যা সমাধান দেবার জন্যও কমিউনিকেশনের প্রয়োজন হবে। আবার ভালো কমিউনিকেশন দক্ষতা ছাড়া আপনি কোন টিম লিড দিতে পারবেন না।

 

তাই এই ফিল্ডে উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য অবশ্যই আপনার ভালো কমিউনিকেশন দক্ষতা থাকতে হবে।

 

ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতা

একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্রিয়েটিভিটি থাকাটা খুব বেশি জরুরী। আপনাকে বিভিন্ন সময়ে একা একা অথবা অন্যদের সাথে নতুন সফটওয়্যার তৈরির জন্য ক্রিয়েটিভ চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশি থাকবে এই ক্যারিয়ারে তার তত বেশি উন্নত করার সম্ভাবনা থাকবে।

 

নেটওয়ার্কিং

অন্যান্য ক্যারিয়ারের মত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে নেটওয়াকিং এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে এই ফিল্ডে আরো বেশি ক্যারিয়অর উন্নত করা যায়। 

 

বিশেষ করে নতুন মানুষের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা, আপনার প্রোডাক্ট বা ভ্যালু সম্পর্কে বোঝানো এবং একটি সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষমতা ভবিষৎতে আপনাকে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।

 

প্রবলেম সলভিং দক্ষতা

একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের জন্য প্রবলেম সলভিং দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তার ক্যারিয়ারে হাজার হাজার প্রবলেম সলভ করতে হবে। প্রবলেম সলভিং এ যে যত পারদর্শী সে তত বেশি উন্নত করতে পারবে।  একটা সমস্যার অনেকগুলি সমাধান সামনে আসতে পারে, একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ হলো উক্ত সমাধানের মধ্যে থেকে সেরা সমাধানটি নির্বাচিত করা এবং সেই অনুযায়ী সমাধান করা।

 

সিকিউরিটি

সাইবার সিকিউরিটি বোঝা একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তারা প্রায়ই প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার তৈরি করে বিভিন্ন ডাটা নিরাপদ রাখতে চায়। কোডিং এর জন্য সিকিউরিটি একটি বিশেষ দক্ষতা যেটা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের  জানা প্রয়োজন।

 

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

একটি সফটওয়্যার তৈরির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এর কাঠামো বোঝা। সফটওয়্যারটি কেমন হবে, কেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, সবকিছুই নির্ভর করবে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের চিন্তা-ভাবনার উপর। অর্থাৎ তাকে ভালো করে আইডিয়া করতে হবে যে কেমন হবে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য অ্যালগরিদম বা ডাটা স্ট্র্যাকচারও বোঝা জরুরী।

 

গাণিতিক দক্ষতা

একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে দক্ষ হতে হলে তাকে গণিতের উপরও ভালো দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে অনেক সমস্যা সমাধান করতে হবে গাণিতিক দক্ষতা দিয়ে। কেউ যদি গণিতে দক্ষ না হয় তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান করা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

 

পরিশেষে

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আশা করি আপনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে একটু ধারণা পেয়েছেন যা আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তাকে আরো উন্নত করবে। 

যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ  করতে পারেন, আমরা চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *