কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইটের প্রকারভেদ এবং প্রয়োজনীয়তা

আপনি আমার এই লেখাটি পড়ছেন তার মানে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো ইন্টারনেটে গিয়ে গুগল এ সার্চের মাধ্যমে এই লেখাটি পেয়েছেন বা কেউ আপনাকে লিঙ্কটি দিয়েছে। যাইহোক এইযে আপনি এই লেখাটি পড়ছেন তারমানে আপনি আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন। আপনি হয়তো প্রতিদিন এমন অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করেন কিন্তু আপনি কি প্রকৃতপক্ষে জানেন যে ওয়েবসাইট কি। না জানলেও কোনো সমস্যা নাই কারণ আমি আজ এটা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।


ওয়েবসাইট কি

ওয়েবসাইট হলো কোনো নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে রাখা বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টি যা আমরা ইন্টারনেট বা ল্যানের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করতে পারি। যেমন ওয়েব পৃষ্ঠা, ছবি, অডিও বা ভিডিও ইত্যাদি। 

 

সহজভাবে যদি বলার চেষ্টা করি তাহলে বলা যায় যে, আমরা যখন গুগলে কিছু লিখে সার্চ করি তখন আমাদের সামনে উক্ত লিখা অনুসারে অনেকগুলি টাইটেল আসে। আমরা যদি কোনো একটি টাইটেল এ টাচ করি তাহলে আমরা যা দেখতে পাই সেটিই হলো একটি ওয়েবসাইট। 

 

আপনি যদি চান যে আপনার একটি ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে রান করবে তাহলে আপনাকে মূলত তিনটি কাজের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। 

 

  • আপনাকে একটি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে

  • ভালো মানের একটি ওয়েব হোস্টিং নিতে হবে

  • ওয়েবসাইট সুন্দরভাবে ডিজাইন করতে হবে। 

 

ওয়েবসাইটের ইতিহাস

টিম বার্নার্স-লি নামে একজন ব্রিটিস পদার্থবিদ সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে WWW(World Wide Web) তৈরি করেছিলেন। ১৯৯৩ সালের ৩০শে এপ্রিল থেকে এটি ফ্রি ছিলো। HTTP(Hypertext Transfer Protocol) এর আগে FTP(File Transfer Protocol) ব্যবহার করা হতো। সেখানে শুধুমাত্র একটি ডিরেক্টরি স্ট্রাকচার অফার করতো, এবং ডকুমেন্টসগুলি কোনো প্রকার ফরম্যাটিং ছাড়াই প্লেইন ট্রেক্সট উপস্থাপন করা হতো।

 

একটি ওয়েবসাইটের উপাদানসমূহ

আমরা জানি যে ওয়েবসাইট হলো একটি সার্ভারে হোস্ট করা অনেকগুলো ওয়েবপেজের একটি সংগ্রহশালা। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে অনেকগুলি উপাদানের প্রয়োজন হয়, চলুন আমরা উপাদানগুলি দেখে আসি। 

 

ওয়েবহোস্ট: ওয়েবহোস্ট হলো সেই জায়গা যেখানে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ফিজিক্যালি অবস্থান করাই। ওয়েবপেজগুলির গ্রুপকে যখন একটি ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করা হয় তখন এক ওয়েবসাইট বলা হয়।

 

অ্যাড্রেস: অ্যাড্রেস বলতে একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা বোঝায় যা ইউআরএল নামে পরিচিত। যখন আমরা কোনো ওয়েবসাইট খুলতে চাই তখন আমাদের অ্যাড্রেস বারে ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস বা ইউআরএল দিয়ে সার্চ করতে হয়। প্রতিটি ওয়েবসাইটেরও আলাদা আলাদা ইউআরএল থাকে। 

 

হোমপেজ: একটি ওয়েবসাইটের জন্য হোমপেজ হলো খুব কমন এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি ওয়েবসাইটের প্রধান ইউআরএল দিয়ে ভিজিট করলে বা প্রথম ওয়েবপেজে যেটি প্রদর্শিত হয় সেটাই হলো হোমপেজ। একটি ওয়েবসাইটের জন্য হোম পেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এটিই ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য দান করে। 

 

ডিজাইন: আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখতে ওয়েবসাইটের ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডিজাইন একটি ওয়েবসাইটের সামগ্রিক সৌন্দর্য প্রদান করে থাকে।

 

কন্টেন্ট: ওয়েবসাইটে থাকা প্রতিটি পেজ ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুকে উপস্থাপন করে। ওয়েবপেজের ভালো কন্টেন্ট ওয়েবসাইটটিকে আরও ইফেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।


নেভিগেশন স্ট্রাকচার: একটি ওয়েবসাইটের নেভিগেশন স্ট্র্যাকচার হলো ওয়েবসাইটের পেজগুলির ক্রম, এবং কোন পেজের সাথে কোন পেজের লিঙ্ক রয়েছে তার সংগ্রহ। এটি সাধারণত একটি নেভিগেশন মেনু দ্বারা একসাথে রাখা হয়।

 

ওয়েবসাইটের প্রকারভেদ

ওয়েবসাইট কে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এবং ডায়নামিক ওয়েবসাইট।

স্ট্যটিক ওয়েবসাইট কি

ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট। প্রথমদিকে যে ওয়েবসাইটগুলি তৈরি হতো সেগুলো স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ছিলো। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট হলো মূলত সেই ধরনের ওয়েবসাইট যেগুলো সাধারণত HTML দিয়ে তৈরি করে সার্ভারে রাখা হয়। পরবর্তীতে ব্যবহারকারী সেই সাইটটিতে ভিজিট করে। এটি আসলে ওয়েবসাইট তৈরির প্রাচীনতম পদ্ধতি। 

 

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটগুলি সাধারণত ছোট ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং এটি খুবই প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে থাকে। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট যেকোনো ধরনের আপডেট করার জন্য একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞানসম্পন্ন কাউকে প্রয়োজন। 

 

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সুবিধা

  • খুব দ্রুত ডেভেলপ করা যায়

  • খুবই কম খরচে ডেভেলপ করা যায়।

 

স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা

  • ওয়েবসাইটের যেকোনো আপডেটের জন্য ওয়েব ডেভেলপারের প্রয়োজন

  • এটা সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য তেমন উপযোগী না।

 

ডায়নামিক ওয়েবসাইট কি

যখন আমাদের এমন একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয় যেখানে সাধারণ ব্যবহারকারী নিজেই যাবতীয় আপডেট বা প্রয়োজনীয় কাজ করবে। তখনই চলে আসে ডায়নামিক ওয়েবসাইটের নাম। ডাইনামিক ওয়েবসাইট হলো সেই HTML পেজ যেটা একজন ব্যবহারকারী ফ্লাই রিকোয়েস্টের মাধ্যমে রেসপন্স পেয়ে থাকে। 

 

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের জন্য আমাদের সার্ভার সাইড ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন nodejs, PHP Python অথবা framework যেমন express অথবা, Laravel of PHP এবং পাইথনের জন্য Django প্রয়োজন। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের তুলনায় এগুলি সাধারণত ব্যবয়বহুল হয়ে থাকে। 

 

ডায়নামিক ওয়েবসাইটের অনেক ফিচার এবং ফ্লেক্সিবিলিটি রয়েছে। 



ডায়নামিক ওয়েবসাইটের সুবিধা

 

  • অনেক ধরনের ফাংশন সংযুক্ত দক্ষ ওয়েবসাইট

  • আপডেট করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ

  • ভালো কন্টেন্ট ভিজিটরকে ফিরিয়ে আনে এবং সার্চ ইঞ্জিন সহায়ক

  • ডেভেলপার ছাড়াও বিভিন্ন নন-টেকনিক্যাল ব্যক্তি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কাজ করতে পারে

 

ডায়নামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা

 

  • ডেভেলপ করতে সময় তুলনামূলকভাবে বেশি লাগে

  • ডেভেলপে খরচ বেশি

  • হোস্টিং খরচও বেশি

ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ক্যাটাগরি

ওয়েবসাইট কি এ সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হলে আমাদের জানতে এর ক্যাটাগরি সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরিসমহূ।

 

ব্লগ ওয়েবসাইট কি

এটি এমন এক ধরনের ওয়েবসাইট যা ইনফরমেশন প্রোভাইড করে বা যেখানে পোস্টগুলি নিয়মিতভাবে যুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে সর্বশেষ পোস্টটি পৃষ্ঠার উপরে এবং পুরানো পোস্টগুলি নিচের দিকে থাকে। যেমন আমার এই https://itknowledgebd.com/ ওয়েবসাইট টি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটিতে আমি তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করেছি। 

 

একটি ব্লগ ওয়েবসাইট সাধারণত একক মালিকানাধীন হতে পারে বা কয়েকজন মিলেও তৈরি করতে পারে। একটি ব্লগের কন্টেন্ট সাধারণত কোন একটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত লিখা হয়ে এবং ইনফরমালভাবে লিখ হয়। প্রয়োজনে ব্লগপোস্টগুলিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রাখা যেতে পারে। 

 

একটি ব্লগের বিষয়বস্তুকে একটি ব্লগ পোস্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একটি ব্লগ পোস্ট সাধারণত একটি ওয়েব পেজেই প্রদর্শন করানো হয়। ব্লগ ওয়েবসাইটে ইনফরমেশন নিয়মিত আপডেট করা হয়। কেননা ভিজিটরদেরকে ধরে রাখতে বা ব্লগে ট্রাফিক বাড়াতে প্রতিদিন আর্টিকেল, ইমেজ বা ভিডিও সংযুক্ত করতে হয়। বিভিন্ন ব্লগ সাইট পাঠকদের কমেন্টস করারও অনুমতি দিয়ে থাকে।

 

ই কমার্স ওয়েবসাইট কি

ই কমার্স ওয়েবসাইট অনেকটা অনলাইন দোকানের মত যেখানে লোকেরা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে তাদের বাড়ির বা অফিসের বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় করতে পারে। আপনারা যদি কেউ অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে চান তাহলে ইট, বালি, সিমেন্ট দিয়ে দোকান না করে একটি ই কমার্স সাইট তৈরি করে সেখান থেকে বিক্রি করতে পারেন। 


বাংলাদেশে বেশ কিছু ই কমার্স রয়েছে যেগুলো বর্তমানে ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে যেমন: দারাজ, চালডাল, রকমারি ইত্যাদি। ই কমার্সের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে বিশেষ করে করোনাকালিন সময়ের পর থেকে। ই কমার্স থেকে কেনাকাটার ফলে আমাদের সময় সাশ্রয় হচ্ছে।

 

তথ্যমূলক ওয়েবসাইট কি

এই ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে অনলাইন তথ্য প্রদান করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের তথ্য হয়ে থাকে যেমন টিউটোরিয়াল, খবর, সাধারণ জ্ঞান ভিত্তিক ওয়েবসাইট।  


বর্তমানে প্রচুর তথ্যমূলক ওয়েবসাইটের উপস্থিতির কারণে আপনাকে সংবাদপত্র, বই বা উপন্যাস পড়ার কারণে লাইব্রেরিতে যাবার প্রয়োজন হয়না। উইকিপিডিয়ার একটি তথ্যমতে প্রথম-আলোর প্রতিদিন পাঠক সংখ্যা প্রায় ৬৬লাখ।

 

সোস্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট কি

বর্তমানে আমরা সবাই সোস্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে থাকবো। এখনো অনেক মানুষ এমন আছে যে ইন্টারনেট বলতে ফেসবুক ইউটিউব বুঝে থাকে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রতিটি ইউজার তাদের নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে পারে। 

 

তারা সেখানে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো বা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট এর মাধ্যমে নতুন বন্ধু তৈরি করতে পারে। বন্ধুদের মেসেজ পাঠাতে পারে, মেসেজের রিপ্লে করতে পারে, কয়েকজন মিলে একটি গ্রুপ তৈরি করে আড্ডা দিতে পারে এবং অন্যান্য ব্যবহারকারিদের সাথে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন পোস্ট, ছবি এবং ভিডিও রিয়াক্ট সহ যেকোনো মন্তব্য করতে পারে। 

 

প্রচারপত্র ওয়েবসাইট কি

এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলি অনেক সহজ ধরনের হয়ে থাকে যা শুধুমাত্র কয়েকটি পেজ নিয়ে তৈরি হয়। ছোট ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার হয়ে থাকে যা তাদের ব্যবসার ওভারভিউ প্রদান করে থাকে। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলি সাধারণত স্ট্যাটিক হয়ে থাকে যেখানে কন্টেন্টগুলি পরিবর্তন করা হয়না। অর্থাৎ একই ধরনের তথ্য সমস্ত ব্যবহারকারীর কাছে প্রদর্শিত হয়।

 

নন-প্রফিট ওয়েবসাইট কি

এই সাইটগুলি বিভিন্ন সামাজিক কারণে অর্থ সংগ্রহের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, শিশুদের বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা, অপুষ্টি প্রতিরোধে শিশুদের বিনামূল্যে খাবার প্রদান ইত্যাদি।

 

এডুকেশনাল ওয়েবসাইট কি

একটি এডুকেশনাল ওয়েবসাইট হলো এমন একটি ওয়েবসাইট যা শিক্ষার্থীদেরকে শিখতে সহায়তা করে। এখানে শিক্ষা সংক্রান্ত কন্টেন্ট দেওয়া থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ১০মিনিট স্কুল হলো এর পারফেক্ট উদাহরণ।

 

সরকারি ওয়েবসাইট কি

একটি সরকারি ওয়েবসাইট হলো একটি ডিপার্টমেন্ট যেখানে সরকারি সার্ভিস সম্পর্কে জনগণকে জানাতে বা সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে জনগন সরকারি সার্ভিস পেয়ে থাকে। এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পাসপোর্ট, রেল টিকেট এবং বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকি।

 

ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট কি

একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট একটি ব্যক্তি দ্বারা তৈরি করা হয় যেখানে তার জীবন, পরিবার, পড়াশোনা বা কর্ম জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজানো থাকে। এটাকে সিভি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে অনেকেই ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে।

 

ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন? ওয়েবসাইটের ১০টি প্রয়োজনীয়তা

আমরা এতক্ষণ ওয়েবসাইট কি এ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম, চলুন এবার ওয়েবসাইটের কিছু প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনে আসি। কেন আমরা ওয়েবসাইট ব্যবহার করবো কেন আমাদের ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করবো। 

 

  1. ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রধান উদ্দেশ্য হতে পারে আপনার ব্যবসাকে প্রসারিত করা। কেননা একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যবসাকে বৃহৎ আকারে প্রসারিত করতে পারি এমনকি নিজের দেশের বাইরেও ব্যবসাকে প্রসারিত করতে পারি। 

  2. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে কোন তথ্য প্রকাশ করা যায়। যেটা অন্য মাধ্যমে একটু ধীরগতিতে হয়ে থাকে। 

  3. বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই বিভিন্ন তথ্য এবং সেবা পেয়ে থাকি। যেমন বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষার রেজাল্ট ইত্যাদি। 

  4. একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ই কমার্স সাইটের মাধ্যমে ঘরে বসেই কেনাকাটা করতে পারছি। 

  5. যে কেউ যে কোনো স্থান থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য দেখতে পাচ্ছি। 

  6. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা সংবাদপত্র পড়তে পারছি। 

  7. ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা, অডিও, ভিডিও, ইমেজ এবং অ্যানিমেশনসহ আরোও অনেক কিছু পাবলিশ করা যায়। 

  8. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি নিজের মতামত সবার কাছে তুলে ধরতে পারবেন ব্লগিং সাইটের মাধ্যমে। 

  9. ওয়েবসাইটে মনিটাইজেশন চালু করে অনলাইন থেকে ইনকামও করা যায়। 

  10. আপনার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা ব্লগিং সাইট থাকলে সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট, প্রমোশন বা মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যাবে। 

 

পরিশেষে

আশা করি উপরের আর্টিকেল থেকে ওয়েবসাইট কি এই সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনার যদি আরো কিছু জানার থাকে তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনাকে সহোযোগিতা করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *